দেশ বিভাগে ফিরে যান

বেসরকারিকরণের টার্গেট পূরণ করতে অসফল মোদী সরকার, বলছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান

April 2, 2022 | 2 min read

বিপুল আর্থিক ঘাটতি। আর তা মেটাতে বাজার থেকে বিপুল ঋণ নেওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় একের পর এক সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার মতো সহজ পথই নিয়েছিল মোদি সরকার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্ক, বিমা, এয়ারপোর্ট, রেল, সড়ক, খনি—সবই বিক্রির এই পরিকল্পনার গালভরা নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মানিটাইজেশন স্কিম’। কিন্তু বৃহস্পতিবার মার্চ 
মাস সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থমন্ত্রকের হিসেবে দেখা গেল যাবতীয় ঘোষণা, টার্গেট মুখ থুবড়ে পড়েছে। গোটা অর্থবর্ষে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে মোদি সরকারের আয় মাত্র ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এয়ার ইন্ডিয়া বাদে বেসরকারিকরণের বিরাট তালিকায় আর কোনও ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র অগ্রসর হওয়া যায়নি।

কেন্দ্র সবথেকে বড় ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে এলআইসির শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে। বাকি তাবৎ সরকারি সংস্থা বিক্রি করতে না পেরে মরিয়া হয়ে উঠেছিল অর্থমন্ত্রক। মার্চ মাসের মধ্যে এলআইসিকে শেয়ার বাজারে নিয়ে এসে অন্তত ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রয়াসও ব্যর্থ। তাই বছরের শেষে রাজকাষে মাত্র ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সংগ্রহ হয়েছে। এই নিয়ে গত সাত বছরে দু’বার বাজেটে ঘোষণা করা বিলগ্নিকরণের টার্গেট স্পর্শ করতে পারলে না মোদি সরকার। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সেই বছর আয় ৫০ হাজার কোটি পেরয়নি। এবার ধাক্কা কিন্তু অনেক বড়। কারণ, ২০২১ সালের বাজেটে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটির টার্গেট ঘোষণার কিছু মাস পরেই মোদি সরকার বুঝতে পারে, দাবি মোতাবেক সাড়া মিলছে না। তাই পরে টার্গেট ৭৮ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সেইমতো তৈরি হয় ব্যাঙ্ক, বিমা, ভারত পেট্রলিয়াম ইত্যাদি একঝাঁক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বড়সড় তালিকা। কিন্তু অর্থবর্ষ শেষের পরও দেখা গেল সরকারের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। অর্থমন্ত্রক ব্যর্থই। আর তাই এখন একমাত্র পথ বাজার থেকে ঋণ নেওয়া। কারণ, পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মিলিয়ে আগামী অর্থবর্ষেও হাতছানি দিচ্ছে আর্থিক ঘাটতি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #Privatization

আরো দেখুন