ফের দাপট শুরু করোনার, চিন্তা বাড়াচ্ছে চীন ও ব্রিটেনের সংক্রমণ হার
যত সময় যাচ্ছে ততই দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে। একই অবস্থা বিশ্বের বহু দেশেরই। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই কোভিডের হাত থেকে পাকাপাকি মুক্তির আশায় বুক বাঁধছেন সবাই। কিন্তু চিন (China), দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেনের (UK) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE-কে ঘিরে তৈরি হওয়া আশঙ্কার আবহে পরিষ্কার, ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে মারণ ভাইরাস।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চিনে। ইউহান শহরেই প্রথমবার নোভেল করোনা ভাইরাসের দেখা মিললেও প্রথম থেকে সংক্রমণকে অনেকটাই লাগাম পরাতে পেরেছিল বেজিং। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনা প্রশাসনের কপালেও দীর্ঘ হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। কেননা গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৪৬ জন। যা কিনা গত ২ বছরের নিরিখে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের হিসেব। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়াকড়ির দিকে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।
এদিকে ব্রিটেনেও কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভরতি হওয়া কিংবা মৃত্যুর সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট BA.2 সেখানে সংক্রমণের প্রধান স্ট্রেন হিসেবে প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও আশঙ্কা বাড়াচ্ছে সংক্রমণ। শনিবার সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার জন। তবে এর আগে দৈনিক ৩ লক্ষ সংক্রমণে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে দু’দিনে সামান্য নিম্নমুখী হলেও সংক্রমণের হার ভয় দেখাচ্ছে।
এদিকে কোভিড-১৯ যে এখনও বিদায় নেয়নি, বরং ফের যে মারণ ভাইরাস মারাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই কথা জানিয়ে সম্প্রতি সকলকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এপ্রসঙ্গেই তারা জানিয়েছে XE-র কথা। এই স্ট্রেনই ওমিক্রনের (Omicron) সাব ভ্যারিয়েন্ট BA.2-এর চেয়ে অন্তত দশ গুণ বেশি সংক্রামক! এতদিন পর্যন্ত BA.2 স্ট্রেনটিকেই সবচেয়ে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জল-হাওয়াকে উপেক্ষা করেই ছড়িয়ে পড়েছে হু হু করে। এর মধ্যে এই স্ট্রেন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে মার্কিন মুলুকে। তবে এবার নাকি তাকেও ছাপিয়ে যাবে XE ভ্যারিয়েন্টটি। হুয়ের মতে, কার্যত সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন হতে চলেছে XE।