রাজস্থানের কারাউলি শহরে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক অশান্তি, বন্ধ ইন্টারনেট, জারি হল কারফিউ
ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক অশান্তির (Communal Clash) সাক্ষী রইল রাজস্থান (Rajasthan)। শনিবার ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের কারাউলি শহরে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কারফিউ (Curfew) জারি করা হয়েছে কারাউলিতে। শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশে গোটা শহরে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় ৬০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি শোভাযাত্রা থেকে। হিন্দু নববর্ষ নব সম্বৎসর উপলক্ষ্যে বাইক নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। একটি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মিছিল পৌঁছাতেই শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, সেই সময়ে মিছিল লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। মিছিল থেকে পালটা ইটবৃষ্টিও শুরু হয়। এর পরেই দু’ পক্ষের অশান্তি চরমে ওঠে। স্থানীয় দোকানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া বাইকগুলিতেও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বিভাগের এডিজি হাওয়া সিং ঘুমারিয়া জানিয়েছেন,”পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে পেরেছেন। আমরা বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছি। ৫০ জন অফিসার এবং ৬০০ জন পুলিশকর্মী রয়েছেন কারাউলিতে।”
যদিও এই অশান্তিতে কেউ প্রাণ হারাননি। প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক ব্যক্তিকে রাজধানী জয়পুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে কারাউলিতে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে কারাউলিতে।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের প্রশাসনকে নিশানা করে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje) বলেছেন, “কারাউলিতে শোভাযাত্রার উপরে হামলার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।” সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, “প্রশাসনের ব্যর্থতাতেই সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) পালটা বলেছেন, “অশান্তি ছড়িয়েছে যারা, তাদের কোনওমতেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। কড়া শাস্তি দেওয়া হবে দোষীদের।” রাজস্থানের রাজ্যপাল আবেদন জানিয়েছেন মানুষ যেন শান্তি বজায় রাখেন।