ফের প্রকাশ্যে মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, শিব সেনা নেতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের আলিবাগের একটি জায়গা এবং মুম্বইয়ের দাদরে একটি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করল ED। Chawl Land Scam Case-এর ঘটনার তদন্তে নেমে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই সঞ্জয় রাউত টুইট করেছেন, “সত্যমেব জয়তে”।
জানা গিয়েছে, Prevention of Money Laundering Act (PMLA) -এর আওতায় এই নেতার জমি এবং ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের একটি ‘চউল’ (বস্তি) পুননির্মাণের প্রকল্পে ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেই সঞ্জয় সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রবীণ রাউতকে গ্রেফতার করেছিল ED। শুধু তাই নয়, গত বছর PMC ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় গত বছর সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসার পরেই একটি ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন সঞ্জয় রাউত। তিনি লিখেছেন, ‘সত্যমেব জয়তে’।
অন্যদিকে, এদিন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের পরিবারের ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ED। বেশ কিছু ফার্ম, যেগুলির সঙ্গে জৈন পরিবার যুক্ত সেগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধীদলগুলি সমস্বরে এই দাবি করেছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ” বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। ” শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিরও একই বক্তব্য ছিল।
সম্প্রতি কয়লাকাণ্ডে জেরার মুখোমুখি হওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ED, CBI কাউকে ভয় পাই না। আমি অন্য মেটেরিয়াল। আমি বাস্তববাদী। আবেগপ্রবণ নই। এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না।” তিনি আরও জানান, তাঁর থেকে কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেবেন। CBI বা ED দেখিয়ে যদি ভয় দেখানোর চেষ্টা করে BJP তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।