জ্বলন্ত বাড়ি থেকে শিশুকে উদ্ধার, পুলিশকর্মীকে কুর্নিশ সোশ্যাল মিডিয়ায়
দাউদাউ করে জ্বলছে দু’টি দোকান। তার মাঝে একটি বাড়ির বেশিরভাগ অংশও প্রায় আগুনের গ্রাসে। ভিতর থেকে ভেসে আসছে আর্ত চিৎকার। শোনা যাচ্ছে শিশুর কান্নাও। তা শুনে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি পুলিশকর্মী (Police)। নিজের জীবন বাজি রেখে দৌড়ে যান। আগুনকে পরোয়া না করেই উদ্ধার করেন শিশু এবং মহিলাদের। বিপদগ্রস্তদের নবজীবন দান করে ভাইরাল রাজস্থানের পুলিশকর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁকে।
একটি শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজস্থানের কারাউলিতে (Karauli) অশান্তির সূত্রপাত। হিন্দু নববর্ষ নব সম্বৎসর উপলক্ষে বাইক নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। একটি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মিছিল পৌঁছতেই শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, সেই সময়ে মিছিল লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। মিছিল থেকে পালটা ইটবৃষ্টিও শুরু হয়। এরপরেই দু’পক্ষের অশান্তি চরমে ওঠে। স্থানীয় দোকানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের লেলিহান শিখা বেশ কয়েকটি বাড়িকেও গ্রাস করে।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন পুলিশকর্মী নেত্রেশ শর্মা। তিনি দেখেন, দু’টি দোকানের মাঝে থাকা একটি বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছে। ভিতর থেকে শিশু এবং মহিলারা কান্নাকাটি করছেন। নিজেকে সামলাতে পারেননি। ওই বাড়ির সামনে দৌড়ে যান। ততক্ষণে অবশ্য বাড়ির দরজাও আগুনের গ্রাসে। তড়িঘড়ি ভিতরে থাকা শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে নেন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িতে থাকা মহিলাকে তাঁকে অনুসরণ করে বেরিয়ে আসতে বলেন। মহিলাও বেরিয়ে আসেন। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন।
শিশুকে বুকে জড়িয়ে পুলিশকর্মীর দৌড়নোর ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল (Viral) হয়ে যায়। সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন তাঁকে। ওই পুলিশকর্মীকে বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করার দাবিও তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। যদিও নেত্রেশ প্রশংসা নিয়ে তেমন ভাবনাচিন্তা করছেন না। তাঁর কথায়, “আমি এখনও জানি না ওই শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে। আমি শুধুই দায়িত্ব পালন করেছি। তার চেয়ে বেশি কিছু করিনি।”