পণপ্রথার উপকারিতা কুৎসিত মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে যায়, নার্সিংয়ের পাঠ্যবই ঘিরে বিতর্ক
পণপ্রথার উপকারিতা হল, কুৎসিত মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে যায়— নার্সিংয়ের একটি পাঠ্যবইয়ে এমনটাই লেখা রয়েছে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি, নার্সিং পড়ুয়াদের জন্য টি কে ইন্দ্রাণীর লেখা সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ের একটি অধ্যায়ের অংশ এটি। বইটির প্রচ্ছদে লেখা রয়েছে, নার্সিং কাউন্সিলের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বইটি লেখা হয়েছে।
শিবসেনার নেত্রী তথা রাজ্যসভার এমপি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও সংশ্লিষ্ট পাতাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি, তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে টেলিফোনে অনুরোধ করেছেন, এই ধরনের বই অবিলম্বে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হোক। তিনি বলেছেন, এই ধরনের বই আমাদের দেশ ও সংবিধানের পক্ষে অত্যন্ত ‘লজ্জাজনক’। মন্ত্রীকে অনুরোধের বিষয়টি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেও জানিয়েছেন। বিতর্কিত অধ্যায়ের ওই পাতাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে পণের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুবিধার দিকটি উল্লেখ করতে গিয়ে লেখা হয়েছে, নতুন সংসার পাতার ক্ষেত্রে পণ খুবই উপযোগী। কারণ, পণের দৌলতেই নতুন আসবাব, ফ্রিজের মতো গৃহস্থালীর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, গাড়ি প্রভৃতি কেনা সম্ভব হয়। সব শেষে লেখা রয়েছে, মোটা পণের মাধ্যমে কুৎসিত দেখতে মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অবিলম্বে বইটি নার্সিংয়ের পাঠ্যসূচি থেকে বাতিলের দাবি উঠেছে।