উপাচার্যের নিগ্রহ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল নবান্ন
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার উপাচার্যের থেকে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য। জানা গিয়েছে, রাজ্যে সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা উন্নয়ন দপ্তরের তরফে উপাচার্যকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁর থেকে গোটা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ঘরে কী ঘটেছিল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।
চিঠি পাওয়ার পর উপাচার্য জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও বিস্তারিত ঘটনা জানাবেন তিনি।
এদিকে, সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”পুলিশ যা করার করেছে। আলিয়াতে একজন একটু কটু কথা বলেছে। পুলিশ তো গ্রেপ্তার করেছে!” একদিকে যখন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য হেনস্থা নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় কী মন্তব্য করেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিকমহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আলিয়াতে যারা পড়াশোনা করে তারা সকলেই ভাল। কিন্তু, সেখানেও ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ থাকতে পারে। যে কটু কথা বলেছে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমাদের এখানে পুলিশ অ্যাকশন নেয়।” এরপরই তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ”কিন্তু, বিশ্বভারতী-বোলপুর নিয়ে যা হচ্ছে সেটার ব্যাপারে দেখুন! সেখানে ক’জন গ্রেপ্তার হয়েছে? বিশ্বভারতীর ভিসি গ্রেপ্তার হয়েছেন?’’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ”বিশ্বভারতীতে যা করছেন ভদ্রলোক, আমি ভদ্রলোকই বলব কারণ আমার মুখ দিয়ে যেন খারাপ কথা না বেরোয়। সেখানে কোনও অ্যাকশন হয়েছে?’’
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গিয়াসুদ্দিনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”একজন শিক্ষিত ছাত্র হিসেবে এই ভাষা প্রয়োগ করা আমার উচিত হয়নি। আমি এর জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। কিন্তু, আমি কী করব? আমার কেরিয়ারও তো নষ্ট করে দিয়েছেন এই ভিসি। আমায় বহিষ্কার করেছেন। আমায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।” নিজের পাশাপাশি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে দুর্নীতির জন্য উপাচার্য দায়ী বলেও সরব হন গিয়েসুদ্দিন। তিনি বলেন, ”PhD অ্যাডমিশন নিতে গেলে রেট নামে একটা পরীক্ষা হয়। গত ৩০ তারিখ সেই পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে দেখা যায় এক শ্রেণীর ছাত্র, যাদের সঙ্গে পড়াশোনার কোনও সম্পর্ক নেই তাদের অ্যাডমিশন হয়ে গিয়েছে।” গিয়াসুদ্দিনের দাবি, এই সমস্ত ছাত্রদের প্রশ্ন আগে থেকে সাপ্লাই দিয়েছিলেন উপাচার্য। গিয়াসুদ্দিন আরও বলেছিলেন, ”আমার প্রতিবাদের পদ্ধতি হয়ত ভুল ছিল, কিন্তু, দাবিটা সঠিক ছিল।”