কোন পথে ১৪২৯-এর বঙ্গ রাজনীতি? কী বলছে তিন পঞ্জিকা?
আসছে নতুন বছর, বাংলা সন ১৪২৯। সোমবারই বইপাড়ায় পা রেখেছে ১৪২৯ সালের নতুন পঞ্জিকা। কেমন কাটবে আগামি বছর? কী হতে চলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যত? গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত, তিন পঞ্জিকা দপ্তরেরই মত, আসন্ন বাংলা সনটা হতে চলেছে তৃণমূলের।
কিন্তু পঞ্জিকা বলছে, ‘বর্তমান বৎসরে রাজ্যের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে না। সরকারের সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগের সম্পর্কে শীতলতা বৃদ্ধি পাবে। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অনুশাসন না মানার ফল রাজ্যকে বিপর্যস্ত করবে।’ পাঁজিতে এমনটাই লেখা হয়েছে! বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকার রাষ্ট্রফল বিভাগে রাজ্যের বিষয়ে এমনই লেখা হয়েছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাশি হল মেষ।
চলতি বছরের ২৪শে এপ্রিলের পর থেকে টানা আড়াই বছর পর্যন্ত দেশ এবং রাজ্যের পক্ষে খুবই শুভ বলে মনে করছে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার কর্ণধার বলেন, ‘গত দু’বছরের ক্ষতি মিটবে এই বছরে। বিগত দু’বছরের আর্থিক মন্দা কাটবে এই বছরে। গ্রহের ফেরে যাবতীয় সমস্যা মিটবে ওই সময়ের পর থেকেই। শ্রীবৃদ্ধি হবে। মহামারী অতিমারির সময় কাটবে।’
দেশের বিষয়ে বেনীমাধব শীলের পঞ্জিকা প্রণেতাদের এবছরের ভবিষ্যৎবাণী হল,—‘বর্তমান বৎসরে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্ত্তন দেখা দেবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দিকে সরকার নজর দেওয়ার চেষ্টা করলেও সাফল্য আসবে না। কৃষি ও শিক্ষা নিয়ে সমস্যা বৃহদাকার ধারণ করতে পারে। সীমান্ত সমস্যা বিব্রত করতে পারে। শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগতের কয়েকজন দিকপালের জীবনাবসার দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।’
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা বলছে, নববর্ষ থেকে বাংলা নতুন ক্যালেন্ডার কার্যকরী হয়। তাতে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, যারা যেরকম আছে, তারা সেরকমই থাকবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ বছর খুব একটা পরিবর্তন হবে না। এক নম্বরে রাজ্যের শাসক দলের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু’নম্বর জায়গাটা দেশের একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলকে ছেড়ে দিতে হবে। তারা এও মনে করছে, রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদল দ্বিতীয় স্থানে আসবে কি না, তা বলা শক্ত। তাদের যে নিজস্ব জায়গাটা ছিল, তা তারা কায়েম রাখতে পারবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।
কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে কোন দল তৃতীয় স্থানে থাকবে, তা নিয়ে সন্দিহান গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা। তাদের মতে, ফের অন্য কোনও সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এরাজ্যে সংগঠন জোরদার করার প্রয়াস চালাতে পারে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টি বাংলায় সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করেছে। তারই কি উল্লেখ করছে এই পঞ্জিকা? উত্তরে, পঞ্জিকা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে দার্শনিক ও জ্যোতিষীরা পঞ্জিকা লিখেছেন তাঁরাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন।