বাবার স্বপ্নপূরণ করাই লক্ষ্য, অভিনেতার প্রয়াণের পর প্রথমবার মুখ খুললেন অভিষেক দুহিতা
এখন তাঁর বয়স সবে ১২, এই বয়সেই বাবা হারানোর ধাক্কা পেয়েছে সে। তবুও কান্নাচেপে মন শক্ত করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কথা হচ্ছে অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সাইনা ওরফে ডলকে নিয়ে। অভিষেকের প্রাণভ্রমরা ছিল ডল। বাবার অকাল মৃত্যুর শোক চেপে সারাক্ষণ মা’কে আগলে রাখছে সে।
মিষ্টি মুখ, চাইনিজ কাট চুল, ছটফটে মেয়েটা গত কয়েকদিনে শান্ত- যেন আচমকা অনেকটা বড় হয়ে গেছে। ডল ছিল ‘পাপা কি পরী’। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত স্ত্রী সংযুক্তাকে মেয়ের কথাই জিজ্ঞাসা করে গিয়েছেন অভিষেক। গত রবিবার ছিল অভিষেকের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, সেইদিন প্রয়াত অভিনেতাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানতে হাজির হয়েছিলেন অনেকেই। শোক সামলে উঠতে পারেননি সংযুক্তা-সাইনা। তবুও সবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের বহুতলের কমিউনিটি হলে বহুবার মেয়ের জন্মদিন বা অন্য সেলিব্রেশন আয়োজন করেছেন অভিষেক নিজে। সেদিন পুরো এক থমথমে পরিবেশ। প্রবেশদ্বারে রাখা অভিষেকের কেরিয়ারের প্রথম দিকের একটা ছবি, আর ভিতরে রজনীগন্ধার মালায় সাজানো অভিষেকে অসংখ্য ছবি।
এদিন সবাই খোঁজ নেয় ডলের। বাবার কথা বিশেষ কেউই জিজ্ঞাসা করছে না ডলকে, যাতে সে শক্ত থাকতে পারে। তবুও এই শোক ভোলবার নয়। বাবার পারলৌকিক কাজের ফাঁকেই এক সংবাদমাধ্যমকে সাইনা জানিয়েছে, বড় হয়ে অভিনেত্রী হতে চায় সে। তাঁর কথায়,’আমি অভিনয় করতে পারি। আমি অভিনেত্রী হতে চাই। কিন্তু আমার কাছে এখনও কোনও সুযোগ আসেনি’।
আপতত দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে পড়াশোনা করছে সাইনা। মেয়ে অভিনেত্রী হোক এমনটাই চাইতেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী জানান, ‘ডলের ইচ্ছা অভিনয় করবার, ওর বাবাও সেটাই চাইত। ছোট থেকেই ডলের খুব ন্যাক অভিনয়ের প্রতি। ও নিজে যা চাইবে সেটাই হোক মা হিসাবে এইটুকুই চাই’।