বলিউডেও অক্ষত ছিল সুচিত্রা ম্যাজিক, দেব আনন্দ-দিলীপ কুমারদের পাশেও তিনি ছিলেন শাশ্বত
সৌভিক রাজ
প্রায় ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে হিন্দি বাংলা মিলিয়ে ষাটের বেশি ছবি অভিনয় করেছেন। বাঙালি দর্শকদের প্রাণের নায়িকা, তাঁর অভিনয়ের জোরে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন। বলিউডেও নিজের অভিনয় দক্ষতার নজির রেখেছেন মিসেস সেন।
সুচিত্রা সেন অভিনীত হিন্দি ছবিগুলির সন্ধান করল দৃষ্টিভঙ্গি:
দেবদাস:
১৯৫৫ সালে বিমল রায় নির্মাণ করলেন দেবদাস। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রেখেছিলেন মিসেস সেন। ছবিতে দেবদাসের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দিলীপ কুমার, পার্বতী অর্থাৎ পারোর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন কেড়ে ছিলেন সুচিত্রা সেন।
মুসাফির
১৯৫৭ সালে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচলনায় মুসাফির ছবিতে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শেখর কুমার।
চম্পাকলি
নন্দলাল যশবন্তলালের পরিচালনায় ভারত ভূষণের বিপরীতে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে।
সরহাদ
১৯৬০ সালে শঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল সরহাদ। ওই চলচ্চিত্রে দেব আনন্দের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন।
বোম্বাই কা বাবু
এই ছবিতে ফের জুটি বাঁধেন দেব আনন্দ এবং সুচিত্রা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে, ছবিটির পরিচালক ছিলেন রাজ খোসলা। ও’ হেনরির ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করেই ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। আদপে ছবিটি ছিল রহস্য কাহিনী নির্ভর। এই ছবির জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না মিসেস সেন। প্রথমে ছবির মহিলা চরিত্রের জন্য মধুবালাকে নির্বাচন করা হয়েছিল, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ছবি থেকে সরে দাঁড়ালে; সুচিত্রা সেন ওই চরিত্রে অভিনয় করেন।
মমতা
উত্তর ফাল্গুনী ছবিটি জনপ্রিয় হওয়ার পরে ১৯৬৬ সালে একই কাহিনী নিয়ে হিন্দি ভাষায় তৈরি হয় মমতা। অসিত সেন পরিচালিত এই ছবিতে পান্নাবাই চরিত্রে অভিনয় করেন সুচিত্রা। অন্য দুই দিকপাল অভিনেতা, ধর্মেন্দ্র এবং অশোক কুমার ছবিতে অসামান্য অভিনয় করেছিলেন।
আঁধি
রাজনৈতিক কাহিনী নির্ভর বিতর্কিত এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে, অনেকেই বলেন ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের ছায়া অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। ছবিতে সঞ্জীব কুমারের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল।