সেনা বাহিনীতেও চুক্তিতে নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার
বাদ ছিল শুধু সেনা বাহিনী (Indian Army)। সেখানেও কন্ট্রাক্ট সার্ভিস (Contract Service) বা চুক্তিতে নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। সরকারের বাকি সব ধরনের কাজেই চুক্তিতে নিয়োগ চালু হয়েছে প্রায় দু-দশক হতে চলল। বহু সরকারি অফিসে ষোলআনা কর্মীই চুক্তিতে নিযুক্ত। কিন্তু বাদ ছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। সেখানেও চুক্তিতে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অল্পদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
আর্মি, এয়ারফোর্স এবং নেভি, তিন বাহিনীতেই তিন বছরের জন্য জওয়ান এবং অফিসার নিয়োগ করা হবে। এমনই প্রস্তাব নিয়ে সম্প্রতি সেনা ও সরকারের শীর্ষ মহলে হয়েছে। সেনা প্রধান এমএম নারাভানে এই প্রস্তাবে সায় দেওয়ার পর এখন তা সরকারের শীর্ষকর্তাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়।
সরকারি সূত্রের খবর, অচিরেই এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেবে সরকার। আলোচনায় সরকারি কর্তাদের এমন মনোভাবই জানা গিয়েছে।
করোনার কারণে সেনা বাহিনীতে প্রায় দু’বছর নিয়োগ বন্ধ ছিল। ফলে বাড়তে বাড়তে শূন্য পদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬৪। এত পদ অল্প দিনের ব্যবধানে পূরণ করা নানা দিক থেকেই সমস্যার। প্রধান কারণ আর্থিক। এত লোকের বেতন জোগাতে সেনার বাজেটে বিরাট বোঝা চাপবে। সেই কারণেই চুক্তিতে তিন বছরের জন্য নিয়োগের ভাবনা। তবে, স্থায়ী পদে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। শূন্য পদের বড় অংশ পূরণ করার ভাবনা চুক্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার সব ধরনের কাজের জন্যই চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে। অর্থাৎ চুক্তি বহাল থাকাকালীন যুদ্ধে কিংবা দেশের মধ্যেই উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেতে হতে পারে। স্থায়ী পদে চাকরি করা সেনারা যত ধরনের কাজ করে থাকেন তার সবই করতে হবে চুক্তিবদ্ধ জওয়ান ও অফিসারদের।
এক আধিকারিকের কথায়, চুক্তি বহাল থাকার সময় স্থায়ী পদে যুক্ত সেনাকর্মীর সমান বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে কন্ট্রাক্টে নিয়োগ হওয়া জওয়ান ও অফিসারদের। শুধু তাই নয়, চুক্তি শেষের পর তাদের পুনরায় চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে সেনা। সেনাকর্তাদের ধারণা, দেশের কর্পোরেট কোম্পানিগুলি সেনায় চাকরি করা লোকজনকে নিজেদের সংস্থায় ডেকে চাকরি দেবে। কারণ, সেনায় কর্মজীবন শুরু করায় তারা অনেক বেশি শৃঙ্খলাপরায়ন হবেন।