ডি ককের ব্যাটে ভর করে দিল্লিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল লখনৌ
দিনের শুরুটা ছিল পৃথ্বী শয়ের। ৩৪ বলে ৬১ রান করেন ভারতের তরুণ ওপেনার। পৃথ্বী যখন আউট হন, দিল্লির স্কোরবোর্ডে রয়েছে ৬৭ রান। এর মধ্যে ৬১ রানই এসেছে পৃথ্বীর ব্যাট থেকে। বড় রানের জমি তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রানের অট্টালিকা গড়তে পারলেন না ডেভিড ওয়ার্নাররা। পাকিস্তান সফর সেরে আইপিএলে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচে ১২ বলে ৪ রান করলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। রভমান পাওয়েল ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে। দুই ব্যাটারকেই ফিরিয়ে দেন রবি বিষ্ণোই। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।
কৃষ্ণাপ্পা গৌতমও ভাল বল করেন। এক ওভার মেডেন দেন তিনি। একটি উইকেটও নেন। লখনউয়ের বোলাররা কেউই খুব বেশি রান না দেওয়ায় হাতে সাত উইকেট নিয়েও ঋষভ পন্থরা তুললেন মাত্র ১৪৯ রান। পন্থ ৩৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত শাহরুখ খান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল লখনউ। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং কুইন্টন ডি’কক ৭৩ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ২৪ রান করেন রাহুল। তিনি ফিরে গেলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ডি’কক। ৫২ বলে ৮০ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক। এই দুই ব্যাটারকেই ফিরিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। ললিত যাদবের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন এভিন লুইসকেও।
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ক্রুণাল পাণ্ড্যদের ব্যাট শেষ পর্যন্ত জিতিয়ে দিল লখনউকে। শেষ বেলায় ৩ বলে ১০ রান করেন আয়ুষ বাদোনি। ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ।