দেশে প্রথম! পোষ্যদের খাবারের হোম ডেলিভারির উদ্যোগ রাজ্যের
এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কমবেশি একটি করে চারপেয়ে সদস্য থাকে। তা সে কুকুর হোক বা বিড়াল, আদরের কোনও খামতি নেই। আর যাঁরা চার দেওয়ালের মধ্যে তাদের আবদ্ধ রাখতে চান না, তাঁরা পথের ধারেই দেখভাল করেন এদের। সকাল-বিকেল জুটে যায় খাবার। সঙ্গে টুকটাক বিস্কটু-পিকনিক তো আছেই। অনেক সময়ই এইসব পোষ্যদের নিত্য খাবারের জোগাড় করা অনেকের কাছেই ঝক্কির হয়ে যায়। বিশেষত তাঁরা সমস্যায় পড়েন, যাঁরা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকায় সঠিকভাবে খাবার দিতে পারেন না পোষ্যদের। এবার সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল খোদ পঞ্চায়েত দপ্তর। তারাই এখন পোষ্যদের খাবার তৈরি করছে ও পরিবেশন করছে বাড়ি বাড়ি। সেসব খাবার কিনে নিচ্ছেন পোষ্যপ্রেমীরা। কলকাতা ও শহরতলিতে শুরু হয়েছে পরিষেবা। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শর্করা-প্রোটিনের হিসেব মিলিয়ে রীতিমতো ‘ব্যাল্যান্সড ডায়েট’ পরিবেশন করা হচ্ছে পোষ্যদের।
পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ‘পেট’-দের পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব ও কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সৌম্যজিৎ দাসের কথায়, আমরা যতটুকু জানি, তাতে সরকারিভাবে এই উদ্যোগ দেশে প্রথম। এমনকী কোনও বেসরকারি সংস্থাও যে বড় মাপে এই পরিষেবা শুরু করেছে, এমনও নয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পোষ্যদের খাবারের হোম ডেলিভারি অভিনব তো বটেই। এতে অল্প খরচে সাধারণ মানুষ যেমন কুকুর বা বিড়ালদের খাবার খাওয়াতে পারবেন, তেমনই তা তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকরও বটে। কর্পোরেশনের বিপণন আধিকারিক স্বাগতা রায়ের কথায়, ডায়েট তৈরি করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অন্যতম কর্তা ডাঃ উদয়ভানু গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়েছি আমরা। সেইমতোই নির্দিষ্ট উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে খাবার। এই গরমে পোষ্যদের সুস্থ ও শীতল রাখতে সাহায্য করবে সেই খাবার। এমনকী এই ‘মিল’ দিয়ে আমরা দপ্তরেই প্রায় ২৫টি পথকুকুরকে নিয়মিত আহার করাচ্ছি।