রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য পেতে পৃথক পোর্টাল খুলতে উদ্যোগী রাজ্য

April 7, 2022 | 2 min read

রাজ্যবাসীর বিপদে-আপদে পাশে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ত্রাণ তহবিলই বিপর্যস্ত, অসহায় মানুষদের প্রধান সম্বল। ফি বছর সেখান থেকে আর্থিক সাহায্য পান রাজ্যের শতাধিক দুঃস্থ বাসিন্দা। কিন্তু অনেক সময় এব্যাপারে আবেদন জানাতে বিস্তর কালঘাম ছোটাতে হয়। সেই সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও সহজ করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য প্রার্থনার পদ্ধতি। কিছু দিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে অনলাইনে। তার জন্য চালু হচ্ছে পৃথক একটি পোর্টাল বা ওয়েবসাইট। সেখানেই ত্রাণের আবেদন জানানো যাবে। রাজ্যের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই পরিষেবা চালু হলে শুধু দেশ নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে সাহায্যের আর্জি জানাতে পারবেন রাজ্যের কোনও বাসিন্দা। উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই পোর্টাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয় নবান্নে। পয়লা বৈশাখের আগেই এই পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এত অল্প সময়ে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চলতি মাসের মধ্যে পোর্টালটি চালু করতে বদ্ধপরিকর আধিকারিকরা। এই পরিষেবা কার্যকর হয়ে গেলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ত্রাণের আর্জি জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস যাবে। আবেদনে কোনও ত্রুটি কিংবা আরও কোনও নথির প্রয়োজন থাকলে, এসএমএস-এর মাধ্যমে সেটাও ‌জানিয়ে দেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের অনুমোদন মিলবে বলেই দাবি আধিকারিকদের।

মূলত পরিবারের কারও ব্যয়বহুল চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বাসিন্দারা। এছাড়া মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অগ্নিকাণ্ড, অপ্রত্যাশিত কোনও ঘটনায় যদি জীবন-জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও সাহায্য মেলে। বর্তমানে ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা পেতে নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে বা নির্দিষ্ট একটি ই-মেল আইডিতে আবেদন জানাতে হয়। ই-মেল পরিষেবাটি অবশ্য চালু হয়েছে মূলত কোভিডের সময়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আবেদনপত্রের সঙ্গে কী কী তথ্য ও নথি জমা দিতে হবে, তা বুঝতে পারেন না আবেদনকারীরা। ফলে অনেক সময় বাকি থাকা নথি চেয়ে পাঠাতে হয়। অকারণে বিলম্বিত হয় আবেদন মঞ্জুর করার পদ্ধতি। জরুরি পরিস্থিতিতে যা না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। শুধু আবেদনের জন্য আলাদা পোর্টাল থাকলে এই জাতীয় সমস্যা এড়ানো যাবে। আবেদনকারীরা সহজেই বুঝতে পারবেন, কী কী নথি ও তথ্য জমা দিতে হবে। নতুন পোর্টালটির লিঙ্ক দেওয়া থাকবে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে। মাত্র একটি ক্লিকেই ঢোকা যাবে সেখানে। পর পর ধাপ মেনে এগলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই জমা দেওয়া যাবে আবেদন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #state govt, #Chief Minister's Relief Fund

আরো দেখুন