নকল ওষুধ বিক্রি বন্ধে কড়া রাজ্য সরকার, তৈরি করা হচ্ছে ড্রাগ ল্যাবরেটরি
সম্প্রতি কাঁথির হাসপাতালে বাংলাদেশের (Bangladesh) ওষুধ ব্যবহার ঘিরে তোলপাড় হয়েছে বাংলা। সেই ঘটনার পরই ভেজাল ওষুধ বিক্রি রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। রাজ্যে তৈরি করা হচ্ছে ড্রাগ ল্যাবরেটরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজারের দামবৃদ্ধি নিয়ে নবান্ন থেকে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে ওষুধের দর নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। কথা বলেন, ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রসঙ্গে। এদিন বৈঠকে কেন্দ্রকে তোপ দেগে ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভেজাল ওষুধ বিক্রি বেড়ে যাচ্ছে বাজারে। বিভিন্ন রকম খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা দিল্লির দেখার কথা, কিন্তু ওরা সেটা করছে না। তাই একটা ড্রাগ ল্যাবরেটরি করা হচ্ছে। ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার জন্য দুটো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা কালে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বহু যন্ত্রপাতি কিনেছিল রাজ্য। কিন্তু বর্তমানে সেগুলির ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। সেই কারণেই একটা রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই যন্ত্রপাতিগুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকছে এই কমিটি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে একাধিক রোগীকে দেওয়া হয়েছিল ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল। ওই ওষুধের (Medicine) পাউচের গায়ে বাংলা হরফে লেখা ছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’ ওষুধের মোড়কে কবে তৈরি বা কবে মেয়াদ শেষ কোনও কিছুরই উল্লেখ ছিল না। তবে ছিল লাইসেন্স নম্বর। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বাংলায়। সেই ঘটনার পরই ভেজাল ওষুধ বিক্রি রুখতে পদক্ষেপ করল রাজ্য।