ফি বকেয়া থাকলেও উত্তীর্ণ করাতে হবে সব পড়ুয়াদের, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না কোনও বেসরকারি স্কুল। পড়ুয়ার রিপোর্ট কার্ডও আটকে রাখা যাবে না। করোনাকালে বেসরকারি স্কুলের ফি সংক্রান্ত মামলায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর এমনই নয়া নির্দেশিকা জারি করল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার গত ২৫ মে নির্দেশ জারি করে আদালত জানিয়েছিল, ওইদিন পর্যন্ত কোনও পড়ুয়ার ফি বকেয়া থাকলেও তাকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীকে বরখাস্ত করা যাবে না বা আদালতের অনুমতি ছাড়া স্কুলগুলি কোনও কঠোর পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারবে না।
এছাড়াও অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুই স্পেশাল অফিসারও নিয়োগ করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের এহেন নির্দেশের পরও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছিল না। এমনকী একাধিক স্কুল পড়ুয়াদের রিপোর্ট কার্ডও আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়েই হাইকোর্টে হাজির হন অভিভাবকদের একাংশ। বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিষয়টি উত্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানান তাঁদের আইনজীবী। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ফের নির্দেশে জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়াকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না কোনও বেসরকারি স্কুল। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ক্লাসে যোগদানের সুযোগ দিতে হবে। স্পেশাল অফিসাররা সবপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। ১০ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।