তাঁকে ‘রক্ষা’ করার দরকার ছিল না উইলের, মনে করেন জাডা! চড়কাণ্ডে স্মিথ পরিবারের অন্দরেই ফাটল
অস্কারের চপেটাঘাত নিয়ে চর্চা চারদিকে। ইতিমধ্যে এই চড়ের ফলাফলে অনেক ঘটনাই ঘটে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু জাডা পিঙ্কেট স্মিথ কী ভাবছেন? তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সূত্রে সেই তথ্য মিলল সম্প্রতি।
শুক্রবার অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছেন উইল স্মিথ। ইস্তফা গ্রহণ করেছে সংগঠন। সঞ্চালক-কৌতুলশিল্পী ক্রিস রককে মঞ্চে উঠে চড় মারার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা। নিজের স্ত্রীর সম্মান রক্ষার্থে এই কাজ করেছেন বলে দাবি তাঁর। স্ত্রী, অভিনেত্রী জাডা সম্পর্কে মস্করা শুনে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি স্মিথ। অ্যালোপেশিয়ায় আক্রান্ত উইল ঘরনি জাডা। তাঁর মাথার কম চুল নিয়ে অস্কারমঞ্চে ক্রিস ঠাট্টা করে বলেছিলেন, “আমি জি আই জেন-এর সিকুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছি। জাডা অভিনয় করবেন তাতে।” ১৯৯৭ সালের ছবি ‘জি আই জেন’-এ নায়িকার চরিত্রে অভিনেত্রীর মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে ক্রিসের এই মস্করা। যার জেরে মেজাজ হারিয়ে ক্রিসের উপরে চড়াও হন স্মিথ। মঞ্চে উঠে চড় কষান ক্রিসকে।
তার দু’দিন বাদে জাডা ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এ মরসুম সেরে ওঠার। সে দলে আমিও আছি।’ বোঝা গিয়েছিল, তাঁর রোগ নিয়ে ঠাট্টা করা এবং তাঁর স্বামীর প্রতিক্রিয়ায় মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, স্বামীর বিরোধিতা করছেন না জাডা। কিন্তু একইসঙ্গে স্মিথের প্রতিক্রিয়ায় খুশি নন জাডা। তাঁর মতে, ক্রিসের গায়ে হাত তোলা উচিত হয়নি। তা ছাড়া জাডার কাছে আত্মসম্মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চান না, তাঁর স্বামী তাঁকে রক্ষা করতে আসুন। তিনি নিজে এক জন স্বাবলম্বী নারী। নিজের লড়াই নিজেই লড়তে পারেন।
সুতরাং, স্মিথ পরিবারের আবহাওয়া খুব ঠান্ডা নয়, তার আঁচ পাওয়া গেল সূত্রের মারফত।