সিবিআই হাজিরা – অনুব্রতকে ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন অভিষেক? চর্চা
সিবিআই তলবের পরই দেখা গিয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এই নিয়ে বিধানসভায় গান ধরেছেন বিজেপির বিধায়করা। সেখানে সিবিআইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করার নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে নিজের উদাহরণ তুলে ধরেছেন তিনি। প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে সাত–আটবার নোটিশ পাঠিয়েছে। কলকাতার মামলায় নয়াদিল্লিতে ডেকেছে। আমি গিয়েছি। নয় ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।’ এই মন্তব্য করার পর থেকেই মনে করা হচ্ছে তিনি অনুব্রতকে সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে মুখোমুখি হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এভাবে এড়িয়ে গেলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা তুলে ধরবে বিজেপি।
গরুপাচার মামলায় একাধিকবার অনুব্রত সিবিআই তলব এড়িয়েছেন। অনুব্রতের গরহাজিরার দায়িত্ব তাঁর দিকেই ঠেলে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তার পরে অভিষেকের এই মন্তব্য কার্যত বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ? বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে অভিষেকের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমি গিয়ে তদন্তের সম্মুখীন হয়ে সহযোগিতা করেছি। ভেবেছে, আমাকে নোটিশ পাঠিয়ে ঘরে বসিয়ে দেবে। আমি অন্য ধাতুতে গড়া।’ সুতরাং তিনি যখন সিবিআই তলবের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করেছেন তখন তাঁর দলের নেতাদেরও তা করা উচিত বলেই এমন বার্তা দিয়েছেন।
আর সিবিআই–ইডিকে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে সেকথাও বলেছেন তিনি। নাম না করে তিনি বলেন, ‘যে নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হল তাতে যাদের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গেল তারা ‘ধোয়া তুলসীপাতা!’ এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীও জড়িত। এখন তিনি বিজেপিতে। আর তাঁকেই ইঙ্গিত করেছেন অভিষেক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।