মাউথ অর্গানে নাক ও মুখের সাহায্যে একটানা ৯২টি গান বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুকে নাম তুললেন ভোলানাথ
মাউথ অর্গানে (হারমোনিকা) একটানা ১৮টি গান বাজিয়েছিলেন নাকের সাহায্যে। এই কৃতিত্বের কারণে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস বইতে নাম উঠেছিল তাঁর। সেটা মাস ছয়েক আগের ঘটনা। এবার ফের রেকর্ড গড়লেন দক্ষিণেশ্বরের ভোলানাথ সাউ। এবার নাক ও মুখের সাহায্যে টানা ৯২ গান বাজিয়ে ফের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল এই শিল্পীর। লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানাতে কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীর বাংলা ও হিন্দি গানের থেকে বাছাই করা ৯২টি গান অর্গানে বাজিয়েছেন ভোলাবাবু। এবার আরও পদক্ষেপ করতে চান তিনি। পরবর্তী লক্ষ্য গিনেস বুক অফ রেকর্ডস এ নাম তোলা। বর্তমানে তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন পেশায় আইনজীবী এই হারমোনিকা শিল্পী।
ভোলানাথবাবুর বয়স ৫০। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। সাধারনত হারমোনিকা বাদ্যযন্ত্রটি মুখ দিয়েই বাজানোই রীতি। কিন্তু, নতুনত্বের খোঁজে প্রথম থেকেই ভোলানাথবাবু নাকের সাহায্যে এই যন্ত্র বাজানোর চর্চা করেছেন। নাক দিয়ে বাজানোর জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয়। গত আগস্ট মাসে তিনি নাক দিয়ে বাজিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। তারপর থামেননি। নিজের রেকর্ড ভাঙার কথা ভাবতেন। লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছে থেকে ঠিক করেন, নাকের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ব্যবহার করে হারমোনিকা বাজাবেন। তিনি একসঙ্গে দু’টি হারমোনিকা সেট করেন। তারপর মুখ ও নাকের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এক স্কেলে পর পর ৯২টি গান বাজান। তার মধ্যে ২৮টি বাংলা এবং ৬৪টি হিন্দি গান রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি রেকর্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন গৃহীত হওয়ার পর পুনরায় নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেন।
সম্প্রতি, তাঁকে ই-মেল করে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুরস্কার প্রাপ্তির কথা। সে সংক্রান্ত শংসাপত্র, পুরস্কার, স্মারক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের নতুন রেকর্ডের খবর আসার পর খুশি ভোলানাথবাবু। তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার রেকর্ড করে সত্যিই আমি আপ্লুত। তবে, নাক ও মুখ দিয়ে একটানা ৯২টি গান বাজানো খুবই কষ্টের। এর জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। নাকে একটি এবং মুখে আর একটি যন্ত্র একসঙ্গে বাজিয়েছি। একটনা এতগুলি গান বাজনো পরিশ্রমসাধ্য কাজ। লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর গান বাজিয়েছি। এবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন জানাব।এই মুহূর্তে