গরমে নাজেহাল পশুরাও! স্বস্তি দিতে কী ব্যবস্থা আলিপুর চিড়িয়াখানায়?
বাড়িতে বা অফিসে মাথার উপরে হয় ঘুরছে ফ্যান, অথবা চলছে এসি। একেবারে বিরামহীনভাবে। সেইসঙ্গে বদল হয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। হালকা খাবারেই স্বস্তি পাচ্ছে শরীর। মানুষের সঙ্গে গরমে নাজেহাল পশুপাখিরাও। তারাও চাইছে শরীর ঠান্ডা রাখতে। হালকা খাবার খেতে। তাই চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীদের যেমন দেওয়া হচ্ছে হালকা খাবার, তেমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে নিয়মিত স্নানেরও।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানিয়েছেন, ‘গরমের জন্য প্রতিদিন সকালে বাঘ, সিংহ, লেপার্ড এবং অন্যান্য মাংশাসী প্রাণীদের সঙ্গে হাতি, শিম্পাঞ্জিদের স্নান করানো হচ্ছে। এই প্রাণীদের খাঁচায় লাগানো হয়েছে ফ্যান। লাগানো হয়েছে কুলার। যেমন ক্যাঙারুর খাঁচায় আমরা কুলার বসিয়েছি। পাখিদের ঘরে স্প্রিঙ্কলার বসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে রোদ যাতে না ঢোকে সেজন্য পাখিদের ঘর ঢেকেও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এমু বা উটপাখিদের নিয়মিত স্নান করানো হচ্ছে।’
একদিকে যেমন এই ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হয়েছে, তেমনই এই প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এনেছেন কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তা বলেন, ‘ভল্লুককে দেওয়া হচ্ছে টক দই আর ভাত। শিম্পাঞ্জিরা খাচ্ছে লস্যি। সেইসঙ্গে পাখি এবং শিম্পাঞ্জিদের খাবারে বাড়ানো হয়েছে তরমুজ এবং শসার সংখ্যা।’ এই গরমে বাঘও অন্য সময়ের মতো মাংস খেতে চাইছে না। তাই তাদের খাদ্যতালিকা থেকে কমানো হয়েছে মাংসের পরিমাণ, জানিয়েছেন অধিকর্তা। সেইসঙ্গে গরমে শরীরে যাতে জলের পরিমাণ না কমে যায় সেজন্য প্রাণীদের দেওয়া হচ্ছে ওআরএস।
একদিকে যেমন কর্তৃপক্ষ প্রাণীদের জন্য স্নানের ব্যবস্থা করেছেন, তেমনই রোদ চড়লেই ঘরে যে চৌবাচ্চা আছে সেখানে জলে গা ডুবিয়ে বসে থাকছে বাঘ, সিংহরা।