রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রধান শিক্ষকের বিদায় বেলায় চোখের জলে ভাসল স্কুলের পড়ুয়ারা

April 10, 2022 | 2 min read

স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে রেখেছে একদল পড়ুয়া। দেখে মনে হতেই পারে, দাবি আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছে তারা। তবে বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। কারোর মুখ ভার, কেউ কেঁদে ভাসাচ্ছে। কথা বলতে গিয়ে কারোর গলায় দলা পাকিয়ে আসছে। কারোর মুখে স্লোগান। প্রধান শিক্ষকের ঘরে দাঁড়িয়ে না যাওয়ার অনুরোধ। প্রধান শিক্ষক যাতে অন্য স্কুলে বদলি না হন, সেই আর্জি জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আর্জি পড়ুয়াদের। নাছোড়বান্দা ছাত্র-ছাত্রীদের চাপে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস প্রধান শিক্ষকের। শেষমেশ আশ্বস্ত হল পড়ুয়ারা।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, নন্দীগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে স্লোগান বিক্ষোভ। গত কয়েকদিনে এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। যার জেরে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড়। ফের একবার ছাত্র ‘বিক্ষোভ’ -এর সাক্ষী থাকল বাংলা। কেউ ভেঙে পড়ল কান্নায়, কেউ আবার দিল স্লোগান। পড়ুয়াদের দাবি একটাই, প্রধান শিক্ষককে কোনওভাবেই অন্যত্র বদলি হতে দেওয়া যাবে না। তাঁর স্নেহ, শাসন থেকে উপেক্ষা হতে নারাজ পড়ুয়ারা। নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি হাই স্কুলে।

বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা। তাঁর বাড়ি,পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এলাকায়। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন।সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। কিন্তু চাঁপাডালি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের ভালোবাসা, স্নেহ থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছে না। আর সেই কারণেই প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। আগামী সোমবারই প্রধান শিক্ষকের নতুন স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আর আজই প্রধান শিক্ষকের বর্তমান স্কুল চাঁপাডালি হাই স্কুলের শেষ দিন। আর সে কারণেই প্রধান শিক্ষক যাতে ওই স্কুলেই থেকে যান তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা পড়ুয়াদের।

শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধান শিক্ষককে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। রীতিমতো কান্নাকাটি করে দীর্ঘসময় ধরে তারা প্রধান শিক্ষককে ঘিরেও রাখে। কেউ আবার স্লোগান দিয়ে জানাল প্রধান শিক্ষককে বদলি করা যাবে না। প্রধান শিক্ষককে কর্ম জীবনের বাকি সময়টুকু ওই স্কুলেই থাকতে হবে। এই দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। বদলি রুখতে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানকেও চিঠি দেয় পড়ুয়ারা। অবশেষে ছাত্র ছাত্রীদের চাপে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন প্রধান শিক্ষক। তারপর বিক্ষোভ ওঠে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#students, #transfer, #Head Master

আরো দেখুন