আরফিএফেও ৮ হাজারের বেশি শূন্য পদ, এবার প্রশ্ন উঠছে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে
চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবে কে? বিশেষ করে মহিলা ট্রেন যাত্রীদের সুরক্ষার বন্দোবস্তই বা হবে কীভাবে? কারণ সরকারি তথ্যই বলছে যে, সারা দেশে আরপিএফের (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) আট হাজারেরও বেশি পদ খালি পড়ে রয়েছে।
রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দেশে আরপিএফের মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৭১৯টি। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে ৬৬ হাজার ৩৬০ জন আরপিএফ পার্সোনেল কর্মরত রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে আরপিএফের মহিলা কনস্টেবলের সংখ্যা ৪ হাজার ৯২০ জন। শূন্যপদের সংখ্যা অবশ্য আরপিএফ এবং আরপিএসএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্স) মিলিয়ে দিয়েছে রেল বোর্ড। মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে যে, অবসর ছাড়াও মৃত্যু, ইস্তফার মতো কারণে শূন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে। এরই পাশাপাশি পদোন্নতির কারণে কেউ উচ্চ পদে চলে গেলেও তাঁর আগের পদ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ নিয়োগ অথবা পদোন্নতির মাধ্যমেও শূন্যপদে ভর্তির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
রেলমন্ত্রক যতই যুক্তি দিক, সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, সার্বিকভাবে এর প্রভাব পড়ছে তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা শহর ও শহরতলির রাতের লোকাল ট্রেনে কয়েকটি উদ্বেগজনক ঘটনাও ঘটেছে। যদিও রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে নিয়োগ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। পদ শূন্য থাকলেও সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হয় না। নিরাপত্তা আধিকারিকরা সজাগ রয়েছেন বলেই রেলের সম্পত্তি চুরির পরিমাণ এক বছরে অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।