বিজেপি শাসিত ইউপির নয়ডায় ছড়াল করোনা সংক্রমণ, আক্রান্ত ২৩ পড়ুয়া
এক্সই (XE) ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নতুন আতঙ্ক ছড়ালেও কোভিডের (Covid) প্রকোপ দেশে তুলনামূলক কম। যদিও নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ক’দিন আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendara Modi)। এর মধ্যেই চিন্তা বাড়ানোর মতো ঘটনা উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। সেখানে তিন দিনে ৪টি স্কুলের ২৩ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ওই স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের সিংহভাগ স্কুল। সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার পর সম্প্রতি স্কুল খুলেছে। এর মধ্যেই একসঙ্গে এতজন পড়ুয়ার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা। গৌতম বুদ্ধ নগরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, কোভিড পরীক্ষার পর গতকাল নয়ডার খৈতান পাবলিক স্কুলের ১৩ জন পড়ুয়া করোনা সংক্রমিত বলে জানা গিয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডা. সুনীল কুমার শর্মা বলেন, “নয়ডার ৪টি স্কুলের ২৩ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে। কিছু স্কুল নিজেদের তরফে এই সংবাদ জানিয়েছে আমাদের। পড়ুয়াদের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারলেই স্কুল বন্ধ রাখতে বলছি আমরা। তবে আতঙ্কিত হতে বারণ করছি। আমরা ওই পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি পরিবারের কেউ সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হচ্ছেন কিনা। উপসর্গ থাকলেই নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।”
দিন দুই আগেই দেশের ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য চালু হয়েছে করোনার বুস্টার ডোজ। সেদিনই দেশবাসীকে নতুন করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তার সেই সতর্কবার্তার পরই ফের বাড়া শুরু করল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুও। এর মধ্যেই নয়ডার পড়ুয়াদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেল।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮ জন। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে ১০ হাজার ৮৭০। গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার মাত্র ০.০৩ শতাংশ। তবে করোনা এখনও কেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের প্রাণ। রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। যা গতকাল ছিল ১৯। দেশে কোভিডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৩৬।