বিগত ১৭ মাসে সর্বোচ্চ! ৬.৯৫ শতাংশের গণ্ডি ছুঁলো খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি
দেশ জুড়ে চলছে আর্থিক দূরাবস্থা। মোদী জমানায় একেবারেই তলানিতে পৌঁছেছে অর্থনীতি। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাজেহাল মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়া খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি। বিগত ১৭ মাসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ৬.৯৫ শতাংশে পৌঁছল দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার। যা বিগত দেড় বছরের মধ্যে সর্বাধিক। চলতি বছরের মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমান ছিল ৬.০৫ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি এই পর্যায়ে পৌঁছল। মঙ্গলবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্সের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। এই নিয়ে এক নাগাড়ে টানা তিন মাস যাবৎ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চরমসীমার মাত্রাও পেরিয়ে গেল দেশের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যার পরিমাণ ছিল ৬.০১ শতাংশ।
বিগত বছরের তুলনার এ বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই বেশি, ২০২১ সালের মার্চ মাসে সিপিআই নির্ভর মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫.৫২ শতাংশ।
ভারতের শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে, মূল্যবৃদ্ধি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। গ্রামীণ ভারতের ক্ষেত্রে সিপিআই এক মাসের ব্যবধানে ৬.৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে বিগত মার্চে ৭.৬৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ভারতের শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সিপিআই-নির্ভর মুদ্রাস্ফীতির পরিমান বিগত এক বছরে ৫.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.১২ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তরফে ন্যাশনাল স্যাটিসটিক্যাল অফিস কর্তৃক প্রতি মাসে কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্স তথা দেশব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। শহরাঞ্চলের ১,১১৪ টি বাজার এবং ১,১৮১ টি গ্রাম থেকে জিনিসপত্রের দাম সংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয়েছে। এনএসও-এর কর্মীরা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এমওএসপিআই সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে, এনএসও ৯৯.৯ শতাংশ গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের ৯৮.৩ শতাংশ বাজার থেকে দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। যদিও এনএসও রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯০.২ শতাংশ গ্রামীণ এবং ৯৩.২ শতাংশ শহরাঞ্চল থেকে বাজারের নিরিখে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে এনএসও। বলাইবাহুল্য, খুচরো বাজারের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিই বলে দিচ্ছে দেশে ক্রমশ প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে আর্থিক সংকট।