তাপসী কোনও বিচার পায়নি, হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তে অনাস্থা সিঙ্গুরে ধর্ষিতার বাবার
হাঁসখালি ধর্ষণ মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, যে হেতু মূল অভিযুক্ত শাসক দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার ছেলে, তাই তদন্তের নিরপেক্ষতার বিষয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করতেই সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, সিবিআই নিয়ে আদালত এতটা আস্থা দেখালেও, কেন্দ্রীয় এই তদন্ত এজেন্সি সম্পর্কে ভরসা উঠে গিয়েছে তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিকের। মনোরঞ্জন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাপসী যেমন কোনও বিচার পায়নি, হাঁসখালির পরিবারও পাবে না।
২০০৭-এর ১৮ ডিসেম্বর। সিঙ্গুরের কারখানা সংলগ্ন মাঠে তাপসীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, সিপিএমের লোকজন তাপসীকে ধর্ষণ করে খুন করে দেয়। তারপর দেহ পুড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বিরোধীনেত্রী। বাংলার পাড়ায় পাড়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। তাপসীর ছবি টাঙিয়ে তার পাশে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি। সিবিআই তদন্তের দাবিতে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন মমতা। শেষমেশ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার। সিবিআই গ্রেফতার করে স্থানীয় সিপিএম কর্মী দেবু মালিক ও তৎকালীন সিপিএমের সিঙ্গুর জোনাল সম্পাদক সুহৃদ দত্তকে।
সেই সুহৃদবাবু কার্যত শয্যাশায়ী। দেবুরও টিকি পাওয়া যায় না। তাপসীর বাবা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর হয়ে গেল, কী করল সিবিআই, কিছু করতে পারল কি? তিনি বলেন, তিনি বিচার পাননি, মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।