নববর্ষের দিন তালা দিন হেঁসেলে, বাড়ির দরজাতেই পেয়ে যাবেন খাবার, সৌজন্যে পঞ্চায়েত দপ্তর
বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরও হাতেগরম হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু রাখছে। অবশ্যই উৎসবের মরশুমে থাকছে বিশেষ আয়োজন। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইলিশভাপা থেকে ঝাড়গ্রামের বিশেষ প্রজাতির খাসির মাংসের আয়োজন থাকছে। বাঙালির নববর্ষ বলে কথা। তাই বাঙালির নিজস্ব পদও বাদ যাচ্ছে না। উচ্ছেপোস্ত থেকে টক ডাল, আবেদন করলেই হাজির হয়ে যাবে বাড়ির দোরগোড়ায়। সঙ্গে আধুনিক সময়ের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিরিয়ানির জোগানও থাকছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের অর্ন্তগত সুংসহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (সিএডিসি) ওই সুবিধা নিয়ে হাজির হচ্ছে। কর্তাদের সোজাসাপ্টা দাবি, নতুন বাংলা বছরে হেঁশেল ঠেলার দায় মা, বোনেদের নিতে হবে না। বাঙালির রসনাতৃপ্তির দায়িত্ব তাঁরাই নেবেন।
সঙ্গে একটি অতিরিক্ত সংযোজনও আছে। সম্প্রতি বাড়ির পোষ্য, অর্থাৎ বেড়াল ছানা, কুকুর ছানার জন্যেও হোম ডেলিভারি চালু করেছে সিএডিসি। বাংলা বর্ষবরণেও সেই সুবিধা বহাল থাকছে। ফলে, আহারের চিন্তা ছেড়ে বিহারের মহা উৎসবে যোগদানের সুযোগ থাকছে, বলাই বাহুল্য। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা সিএডিসি কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ১৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় যাবতীয় পদ বাড়ির সামনে হাজির হয়ে যাবে। ১৪ ও ১৫ এপ্রিল, অর্থাৎ বাঙালির নববর্ষের জন্য বিশেষ আয়োজন আমরা করেছি। উন্নত গুণমানের উপাদান থেকে রান্না, স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনায় বাঙালির হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮১৭০৮৮৭৭৯৪/ ৯১৬৩১২৩৫৫৬ নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ করে দিলেই চাহিদা মতো খাবার পৌঁছে যাবে।
করোনা পর্ব থেকে হোম ডেলিডারি চালু করেছিল সিএডিসি। পরবর্তীতে বিশেষ উৎসবকে সামনে রেখে বিশেষ ধরণের পদ রান্না করে তা সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয় তারা। যা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে। এবারে তাই বাঙালির নববর্ষ পালনের মরশুমে ফের একবার বিশেষ ধরণের মুরগির মাংস থেকে খাসি, দই কাতলা থেকে ইলিশ ভাপার সনাতনী পদ কর্তৃপক্ষ বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছে।