হাঁসখালির শ্মশান থেকে উদ্ধার এক মৃতদেহের হাড়ের টুকরো! করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা
গতকালই ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতে হাঁসখালি পৌঁছেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। থানায় কেস ডায়েরি ঘেঁটে তথ্য বের করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এরই মাঝে আজ সকালে হাঁসখালির শ্মশান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের হাড়ের টুকরো। সেই হাড় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল ফরেন্সিক দলের কাছে। এই হাড় থেকে মামলার তদন্তে কোনও সাহায্য হয় কি না, এখন সেই দিকে তাকিয়ে তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে নির্যাতিতাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিল তৃণমূল নেতার ছেলে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরে নির্যাতিতা মারা গেলে তড়িঘড়ি তাঁর দেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়েও ফেলে অভিযুক্তরা। এই আবহে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। তাই উদ্ধার হওয়া হাড়ের টুকরো থেকে বড় কোনও প্রমাণ মিললে তা তদন্তের কাজে খুব সাহায্য করবে বলে মত তদন্তকারীদের।
অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালিতে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। রাতের দিকে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন এক মহিলা। সেইসময় অসুস্থ ছিলেন নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে পরদিন হয় তাঁর। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে বুধবারই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, মৃতের বাবার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তা শ্মশানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মৃতার জেঠতুতো দাদা। প্রসঙ্গত এই দাদা আবার এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। যার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই অভিযোগ আগে কাউকে জানানো হয়নি। তার প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার দাবা বলেন, ‘এত দিন আমরা খুব ভয়ে ছিলাম। তবে সিবিআই তদন্ত করবে জেনে এখন সাহস পাচ্ছি।’
এদিকে ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ডি, ২০১ এবং ৩৪ ধারা ও পকসো আইনের ছয় নম্বর ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে সিবিআই।