ছেলের বিয়ে দেখে যেতে পারলেন না ঋষি, রণবীরের মেহেন্দিতে নীতুর চোখে জল
আদরের ছেলের বিয়ে। রণবীর-আলিয়ার মেহেন্দিতে গোটা বাড়ি জুড়ে কত হইচই। অথচ মাথায় পাগড়ি বেঁধে যে মানুষটার সেই হুল্লোড়ের মধ্যমণি হয়ে ওঠার কথা ছিল, সেই তিনি-ই নেই। বুধবার পরিবারের নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাতে যখন গোটা কপূর পরিবার একত্রিত, প্রয়াত ঋষি কপূরের কথা বড্ড মনে পড়ছিল স্ত্রী নীতুর।
বুধবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের আগের রীতিমাফিক অনুষ্ঠানের পালা। নতুন কনে আলিয়া ভট্টের হাত রাঙা হয়ে উঠেছে মেহেন্দির লালচে-কমলা রঙে। রণবীর কপূরের বান্দ্রার বাড়ি ‘বাস্তু’তে সেই উপলক্ষে জমায়েত হয়েছিল কপূর ও ভট্ট পরিবার। কনের মা সোনি রাজদান, বাবা মহেশ ভট্ট, পূজা ভট্ট ও অন্য আত্মীয়দের পাশাপাশি ছিলেন রণবীরের মা নীতু কপূর, দিদি ঋদ্ধিমা কপূর সাহানি, তুতো দিদি করিশ্মা ও করিনা কপূর-সহ বাকিরা।
চারপাশ যখন আনন্দে মাতোয়ারা, তখনই দেখা গিয়েছে নীতুর চোখে জল। আলিয়ার মা সোনি রাজদানের সঙ্গে গল্পের ফাঁকেই কি মনে পড়ে যাচ্ছিল ঋষির কথা? বুধবার ছিল ১৩ এপ্রিল। তেতাল্লিশ বছর আগে এই দিনেই যে ঋষির সঙ্গে সারা জীবনের জন্য বাঁধা পড়েছিলেন নীতু নিজেই!
বুধবারই ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন ঋষি-ঘরনি। তাতেই তিনি লিখেছেন, ৪৩ বছর আগে, ১৯৭৯ সালের ১৩ এপ্রিল ঋষির সঙ্গে বাগদান হয়েছিল আমার। আংটি বদলের সেই স্মৃতি নীতু ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
এত বছর বাদে একই দিনে শুরু হল একমাত্র ছেলে রণবীরের বিয়ের অনুষ্ঠান। পুত্রবধূ আলিয়ার মেহেন্দিতে নিজের হাত রাঙানোর দিনটাই কি ফিরে এল নীতুর কাছে? ঋষিকে মনে পড়ে তাই চোখ ভিজল চার দশকের সঙ্গিনীর?
সূত্রের খবর, বৃহস্পতি বার কপূরদের বাংলো কৃষ্ণ রাজ হাউস থেকে বারাত এসে পৌঁছবে বিয়েবাড়ি ‘বাস্তু’তে। সেখানেই এখন রণবীরের সঙ্গে সাত পাকের অপেক্ষায় বসে আলিয়া। পঞ্জাবি রীতি মেনেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন দু’জনে।