রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পয়লা বৈশাখের সকালেই বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে রাজ্যে ঢুকবে ২৫০ টন রুপোলি শস্য

April 14, 2022 | 2 min read

ইলিশ। সে মুচমুচে করে ভাজাই হোক কিংবা ভাপা। নাম শুনলেই জল আসে জিভে। এই রূপোলি ফসলের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক চিরন্তন। সাজানো কাঁসার থালার পাশে বাটি ভর্তি কচিপাঁঠার ঝোল থাকলেও পয়লা বৈশাখে একটু ইলিশ না হলে যেন বাংলা নববর্ষের স্বাদ ‘অপূর্ণ’ থেকে যায়। তাই পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য বাজারে আসছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের ২৫০ টন ইলিশ। মাঝারি মাপের ৭৫০-৮০০ গ্রাম থেকে পদ্মার পৌনে দু’কেজি ওজনের ইলিশও মিলবে কলকাতার বাজারে।

ইলিশের কদর থাকে সারা বছরই। তবে, বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনে সেই চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কেনার হিড়িক পড়ে বাজারে। এর মধ্যে অন্যতম দিন হল পয়লা বৈশাখ। বাংলা ও বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিন। এছাড়াও, জামাইষষ্ঠী, দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমী, সরস্বতী পুজোর মতো উৎসবে ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সারা বছর নদী-সমুদ্রে ইলিশ মেলে না। তাই বর্ষার সময় যখন ইলিশের মরশুম চলে, তখন হিমঘরে এই রুপোলি ফসল মজুত করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। তা দিয়েই বছরভর চলে উৎসব মরশুমের জোগান। যখন যেমন চাহিদা থাকে, সেই অনুযায়ী হিমঘর থেকে বের করা হয় ইলিশ।

পয়লা বৈশাখের জন্য যে ২৫০ টন ইলিশ বাজারে নামানো হবে, তা কলকাতা শহর এবং শহরতলির একাধিক হিমঘরে মজুত রয়েছে। ২৫০ টনের মধ্যে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ রয়েছে ৫০ টনের মতো। বাকি ২০০ টন মায়ানমারের ইলিশ। স্বাদে পদ্মার ইলিশের জোড়ামেলা ভার। তাই দামও সবার চেয়ে বেশি। তুলনামূলকভাবে স্বাদে একটু পিছিয়ে থাকায় মায়ানমারের ইলিশের দাম কম। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও পৌনে দু’কেজি সাইজের ইলিশের স্বাদ পেতে হলে গাঁটের কড়ি অনেকটাই খসবে। এবার অবশ্য রাজ্যের ইলিশ হিমঘরে মজুত নেই।

রাজ্যের ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তার জন্য আমরা এবার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের প্রায় ২৫০ টন ইলিশ হিমঘর থেকে বের করছি। দাম অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের ইলিশ পাওয়া যাবে। চৈত্র সংক্রান্তির রাত থেকেই কলকাতা সহ বিভিন্ন বাজারে ওই ইলিশ চলে যাবে। নববর্ষের সকাল থেকেই তা কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Bangladesh, #poila baisakh, #Myanmar

আরো দেখুন