সকাল ১১:০৫এর পর স্কুলে পৌঁছলে শিক্ষকদের ‘অনুপস্থিত’ বলে ধরা হবে, নির্দেশ স্কুলশিক্ষা দপ্তরের
সকাল ১১টা বেজে ৫ মিনিটের পর স্কুলে পৌঁছলে শিক্ষকদের ‘অনুপস্থিত’ বলে ধরা হবে। এমনই কড়া নির্দেশ এল রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলে। সকাল ১০:৫০ মিনিটের পর এলে ‘হাফ ডে’ অর্থাৎ অর্ধদিবসের বেতন পাবেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যে ২২ দফা আচরণবিধি জারি করেছে, তার শুরুতেই উপস্থিতি সংক্রান্ত কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। আগের মতোই স্কুলের শিক্ষকরা টিউশন বা কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। বিকেল সাড়ে চারটের আগে কেউ স্কুল থেকে বেরতেও পারবেন না। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আমলে আচরণবিধিটি তৈরি হয়। এখন তার সঙ্গে কিছু নতুন ধারা যোগ করে স্কুলগুলিতে সেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পর্ষদ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সময়ে যোগ হয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে ক্লাসে কেউ মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে মোবাইল একান্তই ব্যবহার করতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের লিখিত অনুমতি থাকতে হবে। ‘শিক্ষার অধিকার আইন’ অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়াকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ধারাটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের আচরণে অসন্তুষ্ট হলে তাদের বোঝানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সহ-শিক্ষক বা অভিভাবকদের সাহায্য নিতে হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
নয়া নির্দেশিকায় কী কী রয়েছে দেখে নেওয়া যাক।
১) সকাল ১০.৪০ থেকে ১০.৫০ মিনিটের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে আসতে হবে। ১০.৫০-এর পরে এলে ‘হাফ ডে’। ১১.০৫ মিনিটের পরে এলে ‘অ্যাবসেন্ট’ বা অনুপস্থিত। ৪.৩০ পর্যন্ত স্কুলে থাকতে হবে।
২) ছাত্রছাত্রীদের উপর শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন কোনওভাবেই নয়।
৩) শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে।
৪) স্কুল ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের মোবাইল নিষিদ্ধ। শিক্ষকরা ক্লাসে মোবাইল বা হেডফোন বা ব্লুটুথ ব্যবহার করতে পারবেন না।
৫) ষষ্ঠ থেকে দশমের তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শেষেও ক্লাস নেওয়ার পরামর্শ।
৬) শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা টাকা ধার দেওয়া বা কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
৭) স্কুল ক্যাম্পাসকে মাদক মুক্ত রাখতে হবে। অর্থাৎ ধূমপান, গুটখা এবং পান নিষিদ্ধ।