রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্রের সমীক্ষার নিরিখে টেলি মেডিসিন পরিষেবায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা

April 16, 2022 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যে: The Better India

করোনাকালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। বিনা ঝক্কিতেই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত আমজনতা। কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষার নিরিখে মিলল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি। কেন্দ্রের সমীক্ষার নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা।

বছর দুয়েক আগে করোনার দাপটে কার্যত থমকে যায় গোটা দেশ। ভাইরাসের দাপট সামাল দিতে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়। তার ফলে সেখানে সাধারণ রোগীদের পক্ষে লম্বা লাইন দিয়ে আউটডোরে ডাক্তার দেখানো কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। তা বলে অন্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ রাখা তো সম্ভব নয়। সে কারণেই খাস কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আমআদমির নাগালের মধ্যে এনে দেওয়ার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

কী সেই টেলি মেডিসিন পরিষেবা? এই ব্যবস্থার মধ্যে গ্রামাঞ্চলের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহে তিনদিন মেডিসিন, স্ত্রী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ সপ্তাহে দু’দিন রোগী দেখার বন্দোবস্ত করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পালা করে রোগী দেখেন। রোগীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েও দেন চিকিৎসকরা। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেই নিখরচায় ওষুধও পান রোগীরা। লাইন না দিয়েই এ ধরনের পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হন রোগীরা।

অন্যান্য রাজ্যগুলিও করোনাকালে একইভাবে চিকিৎসা পরিষেবা রোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে। টেলি মেডিসিন পরিষেবা নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। ওই সমীক্ষায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বেশিরভাগ রাজ্যে টেলি মেডিসিন পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বাংলা সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এখনও এই পরিষেবা পাচ্ছেন এ রাজ্যের বাসিন্দারা। টেলি মেডিসিন পরিষেবার সাফল্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকারের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Tele Medicine

আরো দেখুন