বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জামানত জব্দ বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের
বালিগঞ্জ উপ-নির্বাচনে জামানত জব্দ হল বিজেপি-র। দুই আসনেই লজ্জাজনক পরাজয়, বালিগঞ্জে তৃতীয় স্থানে চলে যাওয়া, সব মিলিয়ে ভোটের ঝুলি শূন্য বিজেপির। তার উপরে বালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, এক জন প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ৬ ভাগের এক ভাগের থেকেও কম ভোট পান, তা হলে তাঁর জামানত জব্দ হয়। এক্ষেত্রে কেয়ার তাই হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীরও। ১০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৭ ভোট। আর চতুর্থ স্থানে কংগ্রেসের প্রার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯৫ ভোট।
বালিগঞ্জের সামগ্রিক ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। তবে শুধু দ্বিতীয় স্থানে নয়, তৃতীয় স্থানে ধসে যাওয়া বিজেপির থেকে সেকেন্ড বয় সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক বাড়ছে অনেকটাই। ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন ৫০ হাজার ৭২২ ভোট আর সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮১৮ ভোট। বাবুলের ব্যবধান ১৯ হাজার ৯০৪ ভোটের। তবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।
শুধু তাই নয়, এই বিধানসভা এলাকার দুটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। এই দুটি ওয়ার্ড হল ৬৪ ও ৬৫ নম্বর। সামান্য ভোটে হলেও সেখানে আগুয়ান বামেরা। বালিগঞ্জে আগের বার মোট ভোট পড়েছিল ৬৪ শতাংশ, উপ-নির্বাচনে সেই শতাংশের হিসাব কমে হয়েছে ৪১ শতাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি পেয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ভোট, ছিল দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু উপ-নির্বাচনে সেই সংখ্যা ১২ হাজার ৯৬৭। উল্টোদিকে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৩০ হাজার ৮১৮। অর্থাৎ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের মধ্যে ফারাক ১৮ হাজার ভোটের। তৃণমূল নেতা, বিধায়ক দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, এক সময়ে বামেদের ভোট রামে গিয়েছিল, আমরা ভোট করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, এ বার সেই ভোট কিছুটা বামেদের কাছে ফিরেছে, সেই কারণেই এই ফল।