দলের অন্তর্ঘাতের কারণেই আসানসোলে পরাজয়? বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
গোটা ভোটপর্ব জুড়ে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে বার বার উঠেছিল বহিরাগত তত্ত্ব। আর এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। একেবারে মাটি কামড়ে লড়াই করেছিলেন তিনি। পরিশ্রমও কিছু কম করেননি। কিন্তু ভোটের ফলাফলে একেবারে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনি। বহিরাগত বিহারীবাবুর কাছেই পরাজিত হয়েছেন ঘরের মেয়ে অগ্নিমিত্রা। নিঃসন্দেহে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। এবার পরাজিত হওয়ার পরে কার্যত বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা। দলকেও কার্যত সতর্ক করলেন অগ্নিমিত্রা।
গণনাকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘এটাকে একটা স্টেপিং স্টোন হিসাবে দেখে আমাদের ২০২৪ এর জন্য তৈরি হতে হবে। শুধু আসানসোলে নয় সব জায়গায়। এত সন্ত্রাস। কিন্তু সন্ত্রাস থাকবেই। তৃণমূল মানেই ছাপ্পা, মানুষ খুন। কিন্তু এটার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কিছু করতে গেলে তৃণমূলের এই সন্ত্রাসকে ছাপিয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্ত করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বারাবনিতে আমাকে মারার চেষ্টা করা হল। আমার তিনজন নিরাপত্তারক্ষী জখম হলেন। একজন বিধায়ক হয়েই যদি এই পরিস্থিতি হয়! তবে আবার বলব, এটা আমার কাছে কোনও অজুহাত নয়। আমি বলব না যে এই হয়েছে, সেই হয়েছে যেজন্য হেরেছি। মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। তবে কি দলের অন্দরে অন্তর্ঘাত হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একথা এখন কেন বলব! বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বর, জামুরিয়াতে সাংঘাতিক লিড দিয়েছে। এখানে আমাদের লোকরা ভোট দিতে বের হননি।’ তাঁর কথায়, রিগিং হয়েছে বলতে পারব না। দলকেও কার্যত সতর্ক করেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর অকৃতজ্ঞ মানসিকতা।