লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন কেসিআর
আগামী জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা করতে চায় দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই বিষয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও মনে করেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র হাতে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার মতো ভোটব্যাঙ্ক নেই। তাই বিরোধীরা সবাই একজোট হয়ে প্রার্থী দিলে বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া যাবে। তাই বিরোধীদের নিয়ে একটি মঞ্চ গড়ে তুলতে আগ্রহী তিনি। এই কারণে এপ্রিল মাসের শেষে অবিজেপি শাসিত রাজ্যে আসছেন তিনি। দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বলে সূত্রের খবর।
তিনি কী রাষ্ট্রপতি হতে চান? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে। নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি হতে চান বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও তিনি নিজে এমন কোনও কথা বলেননি। তবে এটা ঘটনা যে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা বিজেপি তথা এনডিএ’র কাছে চ্যালেঞ্জের। উপ–রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বিজেপি করবে কিনা সেটাও স্থির হয়নি।
নীতীশ কুমারের কেন উঠে আসছে? এনডিএ’র সবচেয়ে বড় শরিক জনতা দল ইউনাইটেড। তারা চাইছে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী এবার নীতীশ কুমারকেই করা হোক। যদিও এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতি, উপ–রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এই নির্বাচনে ভোটার হলেন সাংসদ–বিধায়ককরা। বিজেপিকে সাহায্য করতে পারে দুটি দল, ওডিশার বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তারা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল।
কোথায় কোথায় যাবেন কে চন্দ্রশেখর রাও? সূত্রের খবর, তিনি নয়াদিল্লি যাবেন। সেখান থেকে বাংলায় আসবেন। তারপর মহারাষ্ট্রে যাবেন। সেখান থেকে কেরলেও যাবেন। এই চার রাজ্যে ঘুরে আসার পর বাকি অবিজেপি রাজ্যগুলিতে যাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা পাঠিয়েছেন। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। এখন দেখার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কি উঠে আসে।