রাজধর্মের চেয়ে রাজনীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ! বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নাও আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উপস্থিতি নিয়ে সংশয়। মোদী নিজে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে আগ্রহী হলেও দলের একাংশের আপত্তিতেই সম্ভবত তাঁর এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া হচ্ছে না। বস্তুত, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাই (JP Nadda) চাইছেন না মোদি বাংলার শিল্প সম্মেলনে অংশগ্রহণ করুন।
বেশ কিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তাঁকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতায় গিয়ে মোদী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিলে তাঁদের অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করছেন নাড্ডা। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশও চাইছেন মোদী যেন কোনওভাবেই রাজ্যের বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ না দেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সরকারি অনুষ্ঠানও রাজ্য নেতৃত্বের আপত্তিতে বাতিল হয়েছে। সেই পথে গিয়ে মোদীও সম্ভবত যোগ দিচ্ছেন না BGBS-এ।
আগামী ২০ এপ্রিল কলকাতায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসেনি। অন্য কোনও রাজ্যই সাহস পায়নি অতিমারী জনিত মন্দার মধ্যে শিল্প সম্মেলন করার উদ্যোগ নিতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাহস করে এগিয়ে এসেছেন। ফলে দেশের শিল্পমহলও এই সম্মেলন ঘিরে উৎসাহী হয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে দেশের প্রথমসারির অধিকাংশ শিল্পোদ্যোগী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি প্রমুখ শীর্ষস্তরের শিল্পপতিদের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসা প্রায় নিশ্চিত। সম্মেলনে যোগ দেবেন একাধিক দেশের শিল্পসংস্থা ও শিল্পকর্তারাও।
সম্মেলনকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে। এইরকম একটি শিল্প-বাণিজ্যের আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে আগ্রহী ছিলেন না স্বয়ং মোদীও। অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য মোদী এখন ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটি সম্মেলনে যোগ দিলে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির হাল ফেরানোর বার্তা দিতে সক্ষম হতেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের পরামর্শ।