দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের
দীনেশ কার্তিকের দাপুটে ব্যাটিংয়ের জোরে ম্যাচ জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালস (DC) প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আরসিবি ২০ ওভারে তোলে পাঁচ উইকেটে ১৮৯ রান। দীনেশ কার্তিকের ব্যাটিং তাণ্ডবের জন্যই এই রান তুলতে পারে আরসিবি। দিল্লি ক্যাপিটালস ২০ ওভারে করে সাত উইকেটে ১৭৩। ১৬ রানে ম্যাচ জিতল আরসিবি। এবারের আইপিএলে (IPL 2022) চতুর্থ জয় পেল ব্যাঙ্গালোর।
ফ্যাফ ডু’ প্লেসি, বিরাট কোহলির ব্যাট কথা বলল না। অধিনায়ক ডু’ প্লেসি করলেন মাত্র ৮ রান। আর কোহলি ১২ রানে রান আউট হলেন। কোহলি ফিরতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা তাঁকে নিয়ে। কোহলিকে বাদ দেওয়ার দাবি তুললেন নেটিজেনরা। অতিরিক্ত সাহসী হতে গিয়ে প্রভুদেশাই ফিরলেন মাত্র ৬ রান করে। একের পর এক উইকেট যখন হারাচ্ছে আরসিবি, তখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একা সামলাচ্ছিলেন ইনিংস। ৫৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরেন। আরসিবি-র রান তখন বেশি হয়নি। একশোর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। খুব বেশি রান করতে পারবে বলেও মনে হচ্ছে না। ঠিক সেই সময়ে দীনেশ কার্তিক ও শাহবাজ আহমেদ ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন।
মূলত কার্তিকের জন্যই দিনের শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৮৯ রান করতে পারে। শনিবার কার্তিক খুনে মেজাজে ধরা দেন। যদিও কুলদীপের বলে তাঁর ক্যাচ ফেলেন দিল্লির উইকেট কিপার ঋষভ পন্থ। জীবন ফিরে পেয়ে কার্তিক ধরা দিলেন অন্য অবতারে। তাঁর মারমুখী ব্যাটিং দেখে কে বলবে এই কার্তিকের বয়স প্রায় ৩৭। নাইটদের হয়ে বিবর্ণ দেখাত কার্তিককে। অথচ এদিন মোক্ষম সময়ে তাঁর ব্যাট গর্জে উঠল। দিল্লির বোলারদের যথেচ্ছ মারলেন। তাঁর সঙ্গী শাহবাজও যোগ্য সঙ্গ দিলেন। শেষ পর্যন্ত কার্তিক ৩৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। অন্য দিকে শাহবাজ অপরাজিত থেকে যান ৩২ রানে।
আরসিবি-র রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির রান যখন ৫০, তখন পৃথ্বী শ (১৬) ফিরে যান। মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার ৪৪ রানের পার্টনারিশিপ গড়েন। ওয়ার্নার ব্যক্তিগত ৬৬ রানে এলবিডব্লিউ হন হাসারাঙ্গার বলে। বেশিক্ষণ টেকেননি মিচেল মার্শও (১৪)। চাপ বাড়তে থাকে দিল্লির উপরে। রোভম্যান পাওয়েল (০) এলেন আর গেলেন। পন্থ (৩৪) তাঁর সহজাত ব্যাটিং করতে থাকেন। সিরাজের বলে ফিরতে হয় তাঁকে। দেওয়ালিখন তখনই পড়ে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই অবস্থা থেকে ম্যাচ ঘোরানো সম্ভব ছিল না দিল্লির পক্ষে। পারেওনি পন্থের দল।