“২০২৪-এর নির্বাচনে খেলা বদলে দেবেন মমতা”, জেতার পর বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা
তৃণমূল কংগ্রেস যখন তাঁকে প্রার্থী করেছিল, তখন বিজেপি-র প্রধান স্লোগানই ছিল ‘বহিরাগত’। গোটা প্রচার পর্বে সেই আক্রমণের জবাব দিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা। জবাবে টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আসানসোলে বহিরাগত হলে, বারাণসীতে মোদীও তাই।’’ আর আসানসোল জয়ের পরে বললেন, ‘‘২০২৪-এর নির্বাচনে খেলা বদলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ মমতাকে শুধু আগামীর ‘গেম চেঞ্জার’ বলাই নয়, সেই সঙ্গে শত্রুঘ্নর কথায় ‘‘মমতাই দেশের সবচেয়ে জানদার, শানদার, দমদার নেত্রী।’’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে বিপুল ভোটে জিতেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালের রেকর্ড ভেঙে বাবুল সুপ্রিয়ের জয় ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৭ ভোটে। উপনির্বাচনে সাধারণ ভাবে জয়ের ব্যবধান কমে। কিন্তু শত্রুঘ্ন জিতেছেন প্রায় ৩ লাখেরও অনেকেটা বেশি ভোটে। প্রথম বার আসানসোল জয়ের পরে স্বাভাবিক ভাবেই উল্লসিত তৃণমূল শিবির। উল্লসিত প্রথম বার বাংলা থেকে জয়ী শত্রুঘ্নও। সেই জয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ বার বিজেপি এখানে ইভিএম-এর খেলা দেখাতে পারেনি। স্বচ্ছ ভোট হয়েছে। ভয় বা পক্ষপাত কোনওটাই ছিল না। সেটা সবাই দেখেছে। তারই ফল মিলেছে।’’
দলের কর্মীদের কথাও বলেছেন শত্রুঘ্ন। সেই সঙ্গে আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, আসানসোল উপনির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে দায়িত্বে ছিলেন মলয় ও কল্যাণ। তবে সবার উপরে এই জয় যে মমতার জন্য তা বার বার বলেন শত্রুঘ্ন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আন বান শান’ জয় পেয়েছে।’’ এর পরেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, এই জয় কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য কোনও ইঙ্গিত? জবাবে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘মমতাই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।’’ আগামী দিনে বিহার-সহ দেশের হিন্দি বলয়ে তৃণমূল ও মমতার জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেও দাবি করেন শত্রুঘ্ন।