অভাগা যেখানে যায়… শুভেন্দুকে বিঁধে ফের ফেসবুক পোস্ট দেবাংশুর
বঙ্গের দুই উপনির্বাচনে গোহারা হয়েছে বিজেপি। আর তার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু–সুকান্ত বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বাংলার জনপ্রিয় প্রবাদকেই এখানে তুলে ধরে লিখেছেন, ‘অভাগা যেখানে যায়, সাগর শুকায়ে যায়’।
বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিরাট সাফল্য এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর মুখে নানা কথা বললেও বিজেপি মানুষ বিশ্বাস করেনি সেটা ফলাফলে স্পষ্ট। রাজভবনের আনুকূল্যে কেউ ঘুরপথে, আবার কেউ সরাসরি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছিলেন। সেইসব চুরমার হয়ে গেল। এই জায়গা থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা। কারণ শুভেন্দু অধিকারীকেই বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল।
ঠিক কী লিখেছেন দেবাংশু? এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ঠাকুমা বলত, অভাগা যেখানে যায়, সাগর শুকায়ে যায়! হঠাৎ মনে পড়ল! কারণ, আসানসোলে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দুঃখের বিষয় আসানসোলে মিটার বক্সটা একটু উঁচুতে ছিল হাত যায়নি বেচারার। তাই নন্দীগ্রামে যেটা করা গিয়েছিল, সেটা আর আসানসোলে করা যায়নি। নন্দীগ্রামে লোডশেডিং করেও তো মাত্র ১২০০–১৩০০ ভোটে জিতেছিলেন। এবার আসানসোলে গিয়ে বিজেপির সাড়ে সর্বনাশ করে দিয়ে এসেছেন তিনি।’ এই পোস্টে ‘অপয়া’ শব্দটিকে হ্যাশট্যাগ হিসেবে জুড়ে দিয়েছেন দেবাংশু।
এখানেই শেষ নয়, এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এবারে ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। অগ্নিমিত্রা পাল তো নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী খুব ভালো কাজ করেছে। কিন্তু তবু বিজেপি জিতল না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির জন্য অপয়া। কারণ, যেদিন থেকে উনি ওই দলে যোগ দিয়েছেন সেদিন থেকেই বিজেপি শিবিরে ধস নেমেছে। দিনহাটা, শান্তিপুরের মতো আসন আগেই খুইয়েছেন। এবার আসানসোলও হাতছাড়া হল। পরবর্তীতে উনি যদি দলবদল করেন তাহলে কী হবে জানি না। বিজেপির জন্য উনি ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট।’