মোদী জমানায় সারা দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা
মোদি জমানায় সারা দেশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এহেন ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে সরকারি রিপোর্টেই। এই পরিস্থিতিতে শিশু শ্রম রোধে দেশজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচারে নামছে শ্রমমন্ত্রক। নাগরিকদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে, শিশু শ্রমিক দেখলেই খবর দিন। যদিও সঠিক নজরদারি না হলে এহেন প্রচারে আদৌ কোনও কাজ হবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের বড় অংশ। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮৬ সালের ‘চাইল্ড লেবার (প্রহিবিশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট’কে আরও শক্তপোক্ত করার উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইমতো ২০১৬ সালে সংশোধিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট লেবার (প্রহিবিশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট’ পাস করানো হয়। এই আইন অনুসারে, ১৪ বছরের কম বয়সের কাউকে কোনও কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। এমনকী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের কাউকে কোনও বিপজ্জনক কাজে নিয়োগ করা যাবে না। আইন লঙ্ঘন করলে কড়া শাস্তির বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
শ্রমমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে উল্লিখিত আইনের আওতায় সারা দেশে মোট ৪৬৪টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে এহেন ঘটনা নথিভুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭২টি। এই পরিসংখ্যানকে রীতিমতো উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। সার্বিকভাবে এর জন্য সরকারিস্তরে যথাযথ নজরদারির অভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে ২০২০ সালে তার আগের বছরের তুলনায় নথিভুক্ত ঘটনার সংখ্যা কিছু হ্রাস পেয়েছে। শ্রমমন্ত্রকই জানাচ্ছে, শিশুশ্রম রোধে ইতিমধ্যেই ‘পেনসিল’ পোর্টাল নিয়ে আসা হয়েছে। pencil.gov.in -এ লগ ইন করে যেকোনও সময় এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।