বিভিন্ন স্কুলে মুচলেকা বিতর্কে অসন্তোষ প্রকাশ, সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি অভিভাবকদের
স্কুলের বর্ধিত ফি নিয়ে অসন্তোষ ছিলই। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এ বার ‘মুচলেকা’ বিতর্ক। যা নিয়ে অভিভাবকদের একটা বড় অংশ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের জানিয়েছেন, তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যাবে না। তাঁদের সিদ্ধান্তের বিরোধী কোনও বিক্ষোভে অংশও নেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে করা তো যাবেই না, লেখাও যাবে না নেটমাধ্যম, সংবাদপত্র বা ডিজিটাল কোনও মাধ্যমে। কলকাতার বেশ কিছু স্কুল অভিভাবকদের কাছ থেকে এমন ‘মুচলেকা’য় সইও করিয়ে নিয়েছে সম্প্রতি। তা নিয়েই অসন্তুষ্ট অভিভাবকদের একাংশ।
নিউটাউনের দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস), ডানকুনি পাঠভবন-সহ বেশ কয়েকটি স্কুলের তরফে এই ধরনের মুচলেকা লিখে নেওয়া হয়েছে। কোনও অভিভাবক এই মর্মে মুচলেকা দিতে সম্মত না হলে তাঁদের সন্তান স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না বলে জানিয়েছে নিউটাউন ডিপিএস স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই অবস্থানে বাকি স্কুলগুলি। ফলে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের একটি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলগুলোর যে অমানবিক এবং ব্যবসায়িক চরিত্র জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে গেল তাতে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই বাক্স্বাধীনতা, প্রতিবাদ এবং সংগঠন করার সংবিধান প্রদত্ত অধিকার কেড়ে নিতে এই ব্যবস্থা। এই পদক্ষেপ শিক্ষার অধিকারের পরিপন্থী।’’ এই ঘটনায় সুপ্রিয় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ অভিভাবকদের উপর দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে স্কুলগুলি।
নিউটাউন ডিপিএস-এর প্রিন্সিপাল সোনালি সেন যদিও বলছেন, ‘‘স্কুল বা অভিভাবকদের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই। শিশুমনে যাতে এ সবের কোনও প্রভাব না পড়ে, সে কারণেই এই পদক্ষেপ।’’