দেশজুড়ে হনুমান জয়ন্তীতে হিংসা, তিন রাজ্যে সংঘর্ষ, ধৃত ১৪০
দিল্লি বাদে হনুমান জয়ন্তী ঘিরে অশান্তির আঁচ উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেও। রাজ্যে রাজ্যে এই হিংসার ঘটনায় প্রায় ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবারের হিংসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাজ্যেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে রাম নবমী ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার আগুন জ্বলেছিল। আর এবার হনুমান জয়ন্তী ঘিরেও একই ঘটনা ঘটল দেশের একাধিক রাজ্যে।
জানা গিয়েছে, শনিবার হরিদ্বার জেলার ডান্ডা জালালপুর গ্রামে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে একটি ধর্মীয় মিছিলে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এরপরই রুরকিতে ১১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মিছিলে অংশ নেওয়া হিন্দুদের পক্ষ থেকেও অন্য সম্প্রদায়ের উপর পাথর ছোড়া হয়। একটি গাড়ি এবং একটি দুচাকার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় ছয়জন জখম হয়েছে এবং তাদের রুরকি সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার এই হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে দক্ষিণের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকেও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধে হনুমান জয়ন্তী ঘিরে। দুই দক্ষিণী রাজ্যেই এর আগে রাম নবমী ঘিরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এবার হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরেও অশান্তির খবর সামনে এল এই দুই রাজ্য থেকে। অভিযোগ, অন্ধ্রের কুরনুল জেলায় হনুমান জয়ন্তী মিছিল চলাকালীন শনিবার দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে পুলিশ ৮৯ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে আলুর শহরে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পাথর ছোড়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১৫ জন জখম হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপরই দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তার করতে ময়দানে নামে পুলিশ।
এদিকে কর্ণাটকের হুবলি জেলাতেও হনুমান জয়ন্তী ঘিরে অশান্তির খবর পাওয়া যায়। সেখানে সহিংসতায় এক ইন্সপেক্টর সহ ৪ পুলিশ কর্মী জখম হন বলে জানা গিয়েছে। এরপরই শহর জুড়ে দাঙ্গাবাজদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মোট ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও রবিবার সকালেও নাকি সেখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। পরে বেলা বাড়তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।