বাংলার দেখানো পথে দেশেও পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট চালু করতে চাইছে মোদী সরকার
জনস্বার্থ পরিকাঠামোয় বাংলার উদ্যোগে অনুপ্রাণিত কেন্দ্র। এবার দেশের সব রাজ্যেই জনস্বার্থের সুরাহায় ‘পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট ক্যাডার’ প্রথা চালু করতে চাইছে মোদী সরকার। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি কার্যকর করার লক্ষ্যেই জারি হয়েছে গাইডলাইন। যেখানে চিকিৎসা এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের বিষয় দেখভাল, অর্থাৎ ডাক্তারি এবং প্রশাসন দুটিকে আলাদা করার কথাই বলা হয়েছে। সহজ করে বললে, চিকিৎসককে মূলত চিকিৎসার কাজেই যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাকি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত হাসপাতাল প্রশাসনের কাজ করবেন অন্যরা। ডাক্তাররা কোথায় কী কাজ করছেন, তার তালিকা তৈরি করতে সব রাজ্যকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা কার্যকর রয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে পাওয়া ‘পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট ক্যাডার’ রূপায়ণের ২২ পাতার গাইডলাইনের গোড়াতেই সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়েও জনস্বাস্থ্য বিষয়ের পরিকাঠামো রয়েছে। তবে এবার কেন্দ্র চাইছে, দেশের সর্বত্র এই ব্যবস্থা চালু হোক। বাধ্যতামূলক নয়, পরামর্শ হিসেবেই গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কী এই ‘পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট ক্যাডার?’ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পেশালিস্ট, পাবলিক হেলথ, হেলথ ম্যানেজমেন্ট এবং টিচিং— এই চারটি ক্যাডারে ভাগ করা হয়েছে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো। মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, গাইনোকোলজি, ডার্মাটোলজি, সাইকিয়াট্রিকের মতো বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট, ডিপ্লোমা, এমডি, এমএসরা হবেন স্পেশালিস্ট। পাবলিক হেলথ ক্যাডারে থাকবেন এমবিবিএস ডিগ্রি সহ প্রিভেনটিভ, সোশ্যাল মেডিসিন অথবা পাবলিক হেলথে পোস্ট গ্রাজুয়েট বা এমডিরা। হেলথ ম্যানেজমেন্ট ক্যাডারে স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িতরা তো থাকবেনই, সঙ্গে এমবিএ পাশ ছাত্রছাত্রীদেরও নেওয়া হবে। টিচিং ক্যাডারের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন যে গাইডলাইন দেবে, তা মেনেই সবকিছু হবে।