কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

জোড়াসাঁকোর ‘ধুলো’ দিয়ে তৈরি অভিনব রবীন্দ্র মূর্তি বসল জিরাটে

April 18, 2022 | 2 min read

ছবি সৌঃ বর্তমান

তিনি ‘চরণ ধুলার তলে’ মাথা নত করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রবিবার তাঁর ‘চরণ ধুলা’ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হল তাঁরই আবক্ষ মূর্তি। স্থান হুগলির জিরাট কলোনি হাইস্কুল। কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা হল জোড়াসাঁকের মাটি। আবার এই স্কুলেই ভিনদেশ থেকে আসছে ‘পুণ্য মাটি’। বাংলাদেশ থেকে সেই মাটি রওনা হয়েছে। ভাষাশহিদদের রক্তরঞ্জিত সেই মাটিও স্থাপন করা হবে ওই স্কুলেই। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি ভাষাশহিদ স্মারক স্থাপন করেছে। সেখানেই সসম্মানে রাখা থাকবে শহিদের রক্তরাঙা সেই পবিত্র মাটি। স্কুল তো বটেই সার্বিক ক্ষেত্রেও অভিনব এই ভাবনা হুগলির তথাকথিত অখ্যাত এক স্কুল দেখানোয় বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কবিগুরুর যে মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাতেও আছে বিশেষ অবদান। জানা গিয়েছে, স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র বর্তমান জিরাট কলেজের অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায় মূর্তি প্রতিষ্ঠার টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা তিনি সংগ্রহ করেছেন তাঁরই আঁকা ছবির প্রদর্শনী করে। এমনতর অভিনব আবহে এদিন ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এক বিশেষ অতিথি। তিনি সামশুল হুদা। সাধারণ পরিচয় বাংলাদেশের সঙ্গীতজ্ঞ। আরও বিস্তৃত পরিচয় সেখানকার সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হাসুমণির পাঠশালা’র তত্ত্বাবধায়ক। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকনাম হাসু। তিনিই ওই সংগঠনের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, সাংস্কৃতিক পরিবেশের বিকাশে ভবিষ্যতে ‘হাসুমণির পাঠশালা’ ও জিরাট কলোনি স্কুল একসঙ্গে কাজ করবে। সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিনিময়ের ক্ষেত্রে কোনও স্কুলের ক্ষেত্রে এধরনের উদ্যোগ অভিনব। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভিনদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জ্ঞানের আদানপ্রদান করে। কিন্তু কোনও স্কুল, এধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, এমন ঘটনা বিরল। এনিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা অধ্যাপক পার্থবাবু বলেন, একসময় এই স্কুলই আমাকে জ্ঞানের পথ দেখিয়েছে। আজ, সুযোগ এসেছে তাই সেই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করছি। আর বাংলাদেশের হাসুমণির পাঠশালা কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল শরিফ শেখ বলেন, শিক্ষার সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Jorasanko, #Rabindra statue

আরো দেখুন