শিয়ালদহে রেলযাত্রীদের ৯০ শতাংশ ভুগছেন ব্যথায়, সুগার-প্রেশারের রোগী অর্ধেক!
৯০ শতাংশ নিত্যযাত্রী কোনও না কোনও ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। ৪৫ ঊর্ধ্ব নিত্যযাত্রীদের অর্ধেকের বেশি সুগার ও ব্লাডপ্রেসারে একসঙ্গে ভুগছেন। স্কিন ডিজিজ বা ত্বকের সমস্যাতেও ভুগছেন অর্ধেকের বেশি নিত্যযাত্রী। তাঁদের বাড়ির ৯৫ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া খুদে টিফিনে খাচ্ছে কেক, নুডলস ও নানা ফাস্ট ফুড। ফলে বেশিরভাগ বাচ্চা কিছুদিন পরে খিদেয় অনীহা, পেট ব্যথা, বমি বা সংশ্লিষ্ট উপসর্গের অভিযোগ করছে। শিয়ালদহ স্টেশনে টানা এক সপ্তাহ মেডিক্যাল ক্যাম্প চালিয়ে ৩৫ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে এই মর্মে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পেলেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের ডি এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা।
১১-১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ শাখায় হয় এই স্বাস্থ্যশিবির। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলত ক্যাম্প দুটি। উৎসাহ ছিল দেখবার মতোই। রোজ দুটি ক্যাম্প প্রায় ৫ হাজার হাজার নিত্যযাত্রী ডাক্তার দেখাতে আসেন। শিক্ষক চিকিৎসক, পিজিটি, ইনটার্ন মিলিয়ে ১৫ জন চিকিৎসক শিবিরে শামিল হন। সুগারের মাত্রা (র্যানডম) ২০০ এমজি/ডিএল বা ততোধিক এবং উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়েছিল ১৪০/৯০।
কী বুঝলেন পরিস্থিতি? ক্যাম্পের ইনচার্জ ডি এন দে’র কমিউনিটি মেডিসিনের প্রধান ডাঃ অভিজিৎ দে’র দেওয়া হিসেব বলছে—১) ৪৫ ঊর্ধ্বদের মধ্যে সুগারে ভুগছেন ৭০ শতাংশ। হাই প্রেসার আছে ৫০ শতাংশের। ২) ৪৫ অনুর্ধ্বদের মধ্যে সুগারের প্রকোপ তেমন না থাকলেও প্রতি ৪ জনে ১ জনের হাইপ্রেসার আছে। বিশিষ্ট ব্যথা বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত গোস্বামী বলেন, এখন প্রতি পরিবারে অন্তত একজন ব্যথায় কাবু। করোনার দুটো বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। সুষম খাদ্যগ্রহণ, সকালে অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটা বা খালি হাতের ব্যায়াম এবং কায়িক পরিশ্রমে সমস্যা অনেকটাই কাটবে। শিয়ালদহের ডিআরএম শীলেন্দ্রকুমার সিং বলেন, রাজ্যের ডি এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ভালো উদ্যোগ নিয়েছিল। আমরা সর্বতোভাবে সাহায্য করেছি।