শিলিগুড়িতে চালু হচ্ছে ইলেকট্রিক বাস, ডিপো হবে ডালখোলায়
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা শিলিগুড়িতে ইলেক্ট্রিক বাস চালু করতে চলেছে। এ জন্য চার্জিং স্টেশন প্রয়োজন। কোথায় সেই চার্জিং স্টেশন হবে, তার প্রস্তাব চেয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তা পাঠানোর পর পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শিলিগুড়িতে ইলেক্ট্রিক বাস চালানো হবে। তিন-চারমাসের মধ্যেই ইলেক্ট্রিক বাস চালু করা যাবে বলে আশা সংস্থার। প্রথম ধাপে প্রায় ১০০ ইলেক্ট্রিক বাস চালানোর টার্গেট নিয়েছে সংস্থা। অন্যদিকে, ডালখোলায় তৈরি করা হবে আধুনিক সুযোগসুবিধা যুক্ত বাস ডিপো। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতায় পরিবহণ দপ্তরের এক অফিসে সংস্থার ২৩১তম বোর্ড মিটিং হয়।
সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রাতিম রায় এদিন টেলিফোনে বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে শিলিগুড়িতে ইলেক্ট্রিক বাস চালানো সহ বেশকিছু প্রস্তাব মন্ত্রীর সামনে রেখেছি। মন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। কোন জায়গায় চার্জিং স্টেশন হবে, তার প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে আমাদের। তা পাঠালেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রিক বাস চালু করা হবে। অন্যদিকে, এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে ডালখোলায় তৈরি করা হবে নতুন ডিপো। এ জন্য চার কোটি টাকা খরচ করবে পরিবহণ দপ্তর। ডালখোলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রেলস্টেশন সংলগ্ন সংস্থার নিজস্ব জমিতে ডিপোটি বানানো হবে। ডিপোয় কর্মীদের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে অফিসঘর, বাস শেড, যাত্রীদের জন্য শেড এবং টিকিট কাউন্টার হবে। এনবিএসটিসির ভাইস চেয়ারম্যান তথা করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল বলেন, ডিপো ও টার্মিনাস দু’টিরই সুবিধা থাকবে। ডালখোলা শহরে সংস্থার একটি ডিপোর খুবই প্রয়োজন ছিল। এটা স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। ডালখোলা থেকে ইসলামপুরের দূরত্ব ৬০ কিমি। অন্যদিকে, ডালখোলা থেকে রায়গঞ্জ ৫০ কিমি। রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরের মাঝে কোনও ডিপো নেই।