নির্দিষ্ট হবে ‘হকার জোন’, ৭ দিনের মধ্যে খুলতে হবে প্লাস্টিক
শহরে ভেন্ডিং বা হকার জোন নির্দিষ্ট থাকবে। তার বাইরে যত্রতত্র ফুটপাতজুড়ে স্টল করা যাবে না। সেখানে লাগানো থাকবে ‘নো ভেন্ডিং’ স্টিকার। তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুলিসকে এ সংক্রান্ত সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বর্তমান হকারদের আগামী সাতদিনের মধ্যে প্লাস্টিক বা ত্রিপলের ছাউনি ও ঘেরাটোপ খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সংশ্লিষ্ট হকার কমিটি যদি এই বিষয়ে উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পুলিসের সহযোগিতায় পুরসভাই সেগুলি সরানোর ব্যবস্থা করবে।
সোমবার লালবাজারের আধিকারিকদের নিয়ে পুরসভায় বৈঠক করেন হকার পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। হকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দেবাশিসবাবু বলেন, ওঁদের সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্লাস্টিক না সরালে পুরসভার কর্মীরা অভিযান চালিয়ে সেগুলি খুলে দেবে। মূলত অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, আর কোনও ঝুঁকি আমরা নেব না। এখানে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তাই প্লাস্টিক কিংবা ত্রিপলের বদলে বিকল্প কিছু করতে হবে। প্রয়োজনে টিনের শেড তৈরি করে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ফুটপাতে প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে লালবাজারকে সক্রিয় হতে আর্জি জানিয়ে গত ২২ মার্চ চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। তারপর বিশেষ কিছু কাজ এগয়নি বলে অভিযোগ। হকাররাও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেননি। তাই এদিনের বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছে পুরসভা।
অন্যদিকে, শহরের যত্রতত্র ফুটপাতে হকার বসে পড়ার অভিযোগ ওঠে আকছার। কোথাও কোথাও গোটা ফুটপাতই অবরুদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে চায় পুরসভা। পুরসভার সিদ্ধান্ত, নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া হকাররা যেখানে খুশি বসতে পারবেন না। দেবাশিসবাবু জানান, সব রাস্তার ফুটপাতে তো আর ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া যায় না। তাই ভেন্ডিং এবং নো ভেন্ডিং জোন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। পুলিসকে সবটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে আরও খবর, আগামী দিনে শহরের হকারদের বিশেষ নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যা লাইসেন্সের সমতুল হিসেবে ধরা হবে। সেটির মাধ্যমেই চিহ্নিত হবে বৈধ ও অবৈধ হকার। হকারদের দাবি মেনে তাদের নামের ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।