চিতাবাঘের সাথে রুদ্ধশ্বাস লড়াই, কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ম্যানেজার
চিতাবাঘের সঙ্গে সাত মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াই। অসম সাহসিকতার পরিচয় দিলেন নাগরাকাটা ব্লকের জয়ন্তীপল্লির বাসিন্দা সুব্রত সরকার। রবিবার দুপুরে চিতবাঘের মুখে পড়েন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে লড়াই করেন সর্বশক্তি দিয়ে। সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। নাগরাকাটার খাসবস্তির কাবুলডাঙায় একটি ছোট চা বাগান রয়েছে। সেই বাগানের ম্যানেজার সুব্রতবাবু। এদিন সকালে শ্রমিকরা বাগানে চিতাবাঘ দেখতে পান। চিতাবাঘের আতঙ্কে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে পালান। খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীদের খবর দেন ম্যানেজার। বনকর্মীরা আসার আগে পর্যন্ত ম্যানেজার বাগানে দাঁড়িয়ে থাকেন। দুপুর ৩টের দিকে আচমকা চিতবাঘটি পিছন দিক থেকে সুব্রতবাবুকে আক্রমণ করে। বাঘটি সুব্রতবাবুর কোমর, মাথায়, মুখে থাবা বসায়। সুব্রতবাবু রীতিমতো চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন। চিতাবাঘের চোখে-মুখে কিল মারতে থাকেন। এরপর চিতাবাঘ তাঁকে ছেড়ে দিয়ে পালায়। পরে শ্রমিরা সুব্রতবাবুকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। বিএমওএইচ ডাঃ সুপর্ণ সরকার বলেন, মাথা, গালে, পায়ে, পিঠে বাঘের থাবায় ক্ষত হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সুব্রতবাবু হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, বাগানে টহল দেওয়ার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিতাবাঘটি পিছন দিক থেকে গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিতাবাঘের সামনের দু’টি পা জাপটে ধরি। বাঘের মুখে কিল-ঘুষি মারি। প্রায় সাত মিনিট যুদ্ধ করেছি। শেষে চিতাবাঘটি আমাকে ছেড়ে পালায়।