আবার বাংলাকে অপমান, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসবেন না মোদী
রাজ্যের অনুরোধ সত্ত্বেও সম্ভবত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (Bengal Global business summit) আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের তরফে বাণিজ্য সম্মেলনের যে আমন্ত্রণ পত্র বিলি শুরু হয়েছে, তাতে নাম নেই মোদীর। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আমন্ত্রণ পত্রে নাম রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা অমিত মিত্র এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। তা থেকেই অনেকের ধারণা তৈরি হয়েছে বাণিজ্য সম্মেলনে সম্ভবত থাকবেন না মোদী। তাছাড়া, এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলে তাঁর নিরাপত্তার জন্য এসপিজি (SPG) পুলিশের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করে। এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মৌখিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করে এসেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত প্রশাসনিক মহলে ধারণা তৈরি হয়েছিল, রাজ্যের প্রতি সহযোগিতার বার্তা দিতে মোদী এই সম্মেলনে আসতেও পারেন। সূত্রের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে রাজ্যের তরফে যোগাযোগও করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কারণে এই সম্মেলনে থাকতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে তাঁর দপ্তর। বিজেপি সূত্র বলছে, প্রায় ২ বছর বাদে কোনও রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু দলের আপত্তিতে তিনি আসতে পারছেন না।
তবে মোদী না এলেও বিজিবিএসের (BGBS) সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। আজ মুখ্যমন্ত্রীর নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। সেখানেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের দাবি। রাজ্যের আশা, আম্বানি ও আদানি গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারা উপস্থিত থাকবেন এই বাণিজ্য সম্মেলনে। গৌতম আদানির (Gautam Adani) ছেলেকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। আদানি গোষ্ঠী এই সম্মেলন থেকে বড় মাপের বিনিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও বিজিবিএসে থাকবেন থাকবেন ১৪টি দেশের শিল্পপ্রতিনিধিরা।
সোমবারই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, রমজান মাস চলায় শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় নজরদারিতে জেলার মন্ত্রীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে থাকতে বলা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও রাজ্যের উন্নয়নসূচককে সামনে আনছে রাজ্য। তাজপুর সমুদ্র বন্দর ও দেউচা পাঁচামির কথা রাজ্য বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরতে চায়। বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুর দিন মুখ্যমন্ত্রী নারী সশক্তিকরণ বোঝাতে কয়েকজন মহিলার হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা প্রতীকি তুলে দেবেন। এ পর্যায়ে এই প্রকল্পে ২৩ লক্ষ মহিলাকে দিতে খরচ হবে ২৪০ কোটি টাকা।