এক ক্লিকেই নাগরিক সমস্যার সমাধান, তৈরি হচ্ছে ১২৫টি পুরসভার নয়া পোর্টাল
আপনি কি রাজ্যের কোনও পুর এলাকার বাসিন্দা? এলাকায় জল সরবরাহ ব্যাহত কিংবা স্ট্রিট লাইট খারাপ হলেই দৌড়তে হয় বরো অফিসে বা পুরসভায়? নাকি হন্যে হয়ে ঘোরেন কাউন্সিলারের খোঁজে? এই হয়রানির দিন এবার শেষ হতে চলেছে। কারণ, কলকাতার ধাঁচে রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি পোর্টাল। যার মাধ্যমে এক ক্লিকেই এলাকার নাগরিক সমস্যার কথা জানানো যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার সমাধান করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ছবি সহ খবর অভিযোগকারীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে আগামী দু’-এক মাসের মধ্যেই শুরু হবে এই পরিষেবা। ইতিমধ্যে এই পোর্টাল তৈরির কাজ চলছে। এলাকার রাস্তা খারাপ হোক, নিকাশি সমস্যা বা স্তূপাকার আবর্জনা—ছবি ও সঠিক ঠিকানা সহ প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে সমস্যার কথা জানানো যাবে সেখানে। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ধরা যাক কোথাও স্ট্রিট লাইট খারাপ। অভিযোগকারী স্মার্টফোনে সেটির ছবি তুলে আপলোড করে দিতে পারবেন ওই পোর্টালে। সঙ্গে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সহ জিও লোকেশনও দেওয়া যাবে। ফলে পুরসভার পক্ষে জায়গাটি চিহ্নিত করা সহজ হবে।’ পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের নির্দিষ্ট সময়সীমার তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাজ বিশেষে তা হতে পারে ৪৮-৭২ ঘণ্টা থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত। আর যদি রাস্তা মেরামতির মতো কোনও সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে ‘এসএমএস’-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় জানিয়ে দেওয়া হবে অভিযোগকারীকে।
পরিষেবাটির এখনও নামকরণ হয়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে ‘পাবলিক গ্রিভান্স রিড্রেসাল মডিউল’ বলা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পোর্টালটির নামকরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে দপ্তরের অন্দরে। এই পোর্টালটি চালু হলে, প্রতিটি পুরসভার ওয়েবসাইটে তার লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। পুর এলাকাতে ব্যানার-হোর্ডিং লাগিয়ে চলবে প্রচার। কলকাতা পুরসভায় ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু। দু’-একটি পুরসভা ছোট আকারে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, সার্বিকভাবে রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার জন্য এই ধরনের ‘কমন পোর্টাল’ এই প্রথম।
অন্যদিকে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের ঠিক আগেই অনলাইনে ‘রিয়েল টাইম’ ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল রাজ্য। মাত্র ছ’মাসে প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি নতুন লাইসেন্স ইস্যু এবং পুনর্নবীকরণ হয়েছে। নতুন লাইসেন্সের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৬৯৩ টি। এদিক থেকে শীর্ষে শিলিগুড়ি পুরসভা। পুনর্নবীকরণ হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৭২টি ট্রেড লাইসেন্স। এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অনলাইনের মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে ১২৫৬টি।