প্রথম দিনেই লক্ষ্মীলাভ, বাংলায় ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা আদানীর
রাজ্যের শিল্প সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হয়ে গেল। বিশ্ববাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে ২০ এবং ২১ এপ্রিল বসল বিজিবিএসের আসর। আর এই সম্মেলন থেকেই আশায় বুক বাঁধছে রাজ্য সরকার। শিল্প সম্মেলনে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা। শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ গৌতম আদানী, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। এদিন সম্মেলন শুরুর আগেই আদানী গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের বিপুল প্রশংসা করেন আদানী।
কী বললেন গৌতম আদানী? তিনি বলেন, ”আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্যে ধন্যবাদ। বাংলা নিয়ে আমি বরাবর আগ্রহী৷ আদানী গ্রুপ আরবসাগরের তীর থেকে ব্যবসা শুরু করেছিল। মহিলা ক্ষমতায়ন বাংলার মতো অন্য রাজ্য কেউ ভাবে না। কন্যাশ্রী যে কারণে এত সফল। তাই ইউনাইটেড নেশনস থেকে পুরষ্কার পেয়েছে৷ সবুজ সাথী ও উৎকর্ষ বাংলায় মানুষ উপকৃত। আপনার পপুলারিটি, ক্যারিশ্মা অবিস্মরণীয়। আমাদের ফোকাস অনেক বড়৷ পরিকাঠামো নিয়ে আমরা আগেই কমিট করেছি। আদানী গ্রুপ ডেটা সেন্টার, আন্ডার সি কেবল, সেন্টার ফর এক্সেলেন্স, লজিস্টিক পার্ক ও ফরচুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে আমাদের। ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে।”
এখানেই শেষ নয়, গৌতম আদানীর বক্তব্য, ”আমি এই প্রথম কলকাতাতে এসে বলছি।বাংলা যতজন মণীষীকে দিয়েছে অন্য কোনও রাজ্যে তা নেই। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য বাংলা যা করেছে, অন্য কোনও রাজ্য তা ভাবেনি। সামাজিক স্কিম কন্যাশ্রী প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে, উৎকর্ষ বাংলা, সবুজ সাথী প্রকল্প স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের সব অভিজ্ঞতা বাংলাকে দেব। আমরা টেকনোলজি দেব বাংলাতে। বাংলার আশা আমরা পূরণ করব। আদানী গ্রুপ বাংলাতে ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করবে, ১০০০০ কোটি টাকার এক্সপেনশন করবে।”
আদানীর সংযোজন, ”আমরা বাংলা তে আমাদের সেরা টিম আনব। আদানী গ্রুপ খুব খুশি এখানে আসার জন্য।” তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রণ। যে সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে টাটাদের সঙ্গে সংঘাতের আবহ ছিল রাজ্য সরকারের, সেখানে টাটাদের মুখ থেকে বিনিয়োগের কথা বিশেষ ইঙ্গিতবাহী।